রোহিঙ্গাদের সংক্রামক রোগ নির্ণয়ে যাচ্ছে মেডিকেল টিম
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কোনো সংক্রমণযোগ্য রোগ রয়েছে কি না তা যাচাইয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল টিম পাঠানো হবে। সংক্রামক ব্যাধি, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এএসএম আলমগীর জানিয়েছেন এ তথ্য। খবর বাসসের।
এই চিকিৎসক বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংস ঘটনায় কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা জনগণের সংক্রমণযোগ্য রোগের নমুনা সংগ্রহের জন্য আমরা সেখানে আগামীকাল বুধবার একটি বিশেষ টিম পাঠাব।’
আলমগীর জানান, কোনো রোহিঙ্গা কোনোধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য মেডিকেল টিম নমুনা সংগ্রহ করবে।
দেশের জাতীয় রোগ মূল্যায়নের এই প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা বলেন, অপুষ্টির কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এখানকার প্রায় সব ছেলেমেয়েরই পুষ্টির চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।
সোমবার একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর শরীরে এইচআইভি পজেটিভ ধরা পড়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে এই বিশেষ টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিকিৎসক বলেন, ‘উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী আশ্রয় শিবিরে একজন এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে এবং তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের জন্য অন্যদের কাছ থেকে আলাদা রাখা হয়েছে।’
ডা. আলমগীর বলেন, ‘এছাড়াও সরকারের উদ্যোগে এক লাখ ২০ হাজার হামের ভ্যাকসিন, ৪০ হাজার পোলিও ভ্যাকসিন ও ৩৮ হাজার ভিটামিন ট্যাবলেট বিতরণের জন্য সেখানে ৩২টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।’
সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার বলেন, খাদ্য ও পানি দুষণের কারণে অনেক রোহিঙ্গা এখন ডায়রিয়া, গলার সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, ক্রণিক চর্মরোগ ও জ্বরে ভুগছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গতকাল একটি মেডিকেল টিম রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করে এইচআইভি/এইডসসহ বিভিন্ন যৌন-বাহিত রোগ নির্ণয়ে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও দীর্ঘমেয়াদী অন্যান্য রোগ রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে কমপক্ষে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/জেবি)