জামালপুরে খোলাবাজারে চাল নিয়ে বিপাকে ডিলাররা
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩০ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারের চাল বিক্রি শুরু হলেও ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ডিলাররা।
খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ডিলারদের মাধ্যমে জামালপুর পৌরসভার ৬টি পয়েন্টে এই চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলা খাদ্যা নিয়ন্ত্রক আব্দুল কুদ্দুছ হাওলাদার জানান, চালের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা ও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ৩০ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারের চাল বিক্রি হচ্ছে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
জামালপুর শহরের হাইস্কুল মোড়ের ডিলার আব্দুল ওয়াদুদের দোকানে ব্যবসায়ী জাফর ইকবাল জাফু বলেন, সিংহজানী খাদ্য গুদাম থেকে তারা ওএমএসের চাল উত্তোলন করেন। তবে সিদ্ধ চালের বদলে আতপ চাল দেয়ায় গ্রাহকরা এই চাল নিচ্ছেন না।
জাফু জানান, ২০০ গ্রাহকের কাছে বিক্রির টার্গেট থাকলেও মঙ্গলবার মাত্র ২৯ জন গ্রাহকের কাছে চাল বিক্রি করতে পেরেছেন।
নয়াপাড়া পাচঁরাস্তা মোড়ে আওলাদ হোসেন তালুকদার খসরু ডিলারের দোকানে গিয়েও দেখা যায় ফাঁকা। ক্রেতা নেই তাই অলস সময় পার করছেন ডিলাররা। তিনি বলেন, তার দোকান থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪৪ জন গ্রাহক চাল নিয়েছে।
ডিলাররা আরও বলেন, চাল নেয়ার সময় ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা এবং মোটা আতপ চালের প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহ না থাকায় প্রতিদিনের বরাদ্দকৃত চাল বিক্রি হচ্ছে না।
প্রতিদিন একজন ডিলারকে ২০০ জন গ্রাহকের মাঝে বিক্রির জন্য ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
স্থানীয়রা বলছে, তারা অনেক আশা নিয়ে ওএমএসের দোকানে গিয়ে দেখেন খাবার অযোগ্য চাল। তাও আবার ভোটার আইডি কার্ড দিতে হবে। তাই না কিনে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে দিনে ৫০ থেকে ৫৫ জন গ্রাহক চাল নিলেও অবশিষ্ট চাল অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। সিদ্ধ চালের বদলে আতপ চাল দেয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহক ও ডিলাররা। তারা বলছেন, সিদ্ধ চাল সরবরাহ করা না হলে ওএমএসের কার্যক্রম ভেস্তে যাবে।
গত বেশ কিছুদিন ধরে অব্যাহতভাবে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। গরিবের মোটা চাল এখন ৫০ টাকা কেজি। বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু করে সরকার। খোলাবাজারে চালের দাম দ্বিগুণ করা হয়। আগে এই চালের দাম ছিল ১৫ টাকা কেজি।
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/মোআ)