‘টেক্সটাইল মিলে আগুন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল’
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলে আগুন নেভানোর পূর্ব পরিকল্পনা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল। বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। ছয় তলা মিলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব, অপর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের অভাব ছাড়াও আগুন লাগলে তৎক্ষণিক বিকল্প সিঁড়িও ছিল না।
বুধবার সকালে আগুন লাগলে শ্রমিকদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে না পেরে ছয় জনের মৃত্যুসহ আহত হন অনেকে।
এছাড়া ফায়ার এলার্মসহ পর্যাপ্ত ফায়ার প্রটেকশন ব্যবস্থা এসবের কিছুই ছিল না মিলটিতে। এসব পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হলে হতাহতের সংখ্যা কমে আসতো।
মুন্সীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর মো. ইউসুফ জানান, তাদের পুরাতন টিনশেড ফ্যাক্টরির অনুমোদন থাকলেও পাশে অবস্থিত আগুন লাগা ৬ তলা ভবনটির লাইসেন্সের আওতায় ছিল না। এছাড়া বিকল্প সিঁিড়র ব্যবস্থা ও প্রতিটি তলাতে পানির ব্যবস্থা না থাকায় লাইসেন্সের আবেদন জানালেও আমরা অনুমোদন দেইনি। তারা অবৈধভাবে এই ৬ তলা ভবনে কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।
মুন্সীগঞ্জের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক জুলিয়া জেসমিন জানান, তারা ৬ তলা ভবনে অবৈধভাবে ফ্যাক্টরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। ভবনটি শ্রমিকদের খাবাররুম, প্রিন্টিং এবং গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করতো।
১৫দিন আগেও সরিজমিনে গিয়ে কর্মকর্তারা এই ভবনে পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু সেখানে ফ্যাক্টরির কোন কাজ চলছিল না। হঠাৎ করেই তারা গোপনে গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করে আসছে, যা আমাদের অগোচরে। বিস্তারিত আমি রবিবার জানাতে পারবো বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এই আগুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি। ফ্যাক্টরিটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এছাড়া এই ঘটনায় জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট একে এম শওকত আলম মজুমদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)