সাত মাস পর মাদ্রাসাছাত্রের কঙ্কাল উদ্ধার
নরসিংদীতে সাত মাস পর ইকবাল হোসেন (১৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের পাঁচ টুকরা কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী মদনগঞ্জ রেললাইনের ৫নং সেতুর দক্ষিণ পাশ থেকে এসব কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইকবাল হোসেন কোতালিচর হোসেন বাজারের জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি পৌলানপুর ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন ইকবাল।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকাল ৩টা দিকে ইকবাল হোসেন আলগী মনোহরপুর শাহিন মিয়ার গ্যারেজ থেকে অটো নিয়ে বের হন। সেদিন তার মা-বাবাকে মোবাইলে বলেন, রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরবেন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাধবদী থানায় একটি জিডি করেন তার স্বজনরা। পরে তার মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে কাউছার জানায়, নিহতের সৎ চাচা ওমর ফারুকসহ তিনজন মিলে ইকবালকে হত্যা করে। হত্যার পর কাউসার, নাজমুল খান ও ওমর ফারুক মিলে নিহতের লাশ মদনগঞ্জ সেতুর পাশের জমিতে পুঁতে রাখে। পরে তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এরপর থেকে মামলার প্রধান আসামি ও পরিকল্পনাকারী নিহতের সৎ চাচা কোতালিরচরের ওমর ফারুক এখনও পলাতক রয়েছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আমরা মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে পাঁচদোনা ভাটপাড়া থেকে কাউসারকে গ্রেপ্তার করি। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন বিলের পানির নিচ থেকে ইকবালের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে।
(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)