গাজীপুরে ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ মানচিত্রে দিশেহারা ভবন নির্মাতারা

শাহান সাহাবুদ্দিন, গাজীপুর
 | প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:৫০

শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত ঘনবসতিপূর্ণ গাজীপুরে ভবনের নকশা অনুমোদন এবং গুণগতমান নিশ্চিত করতে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। তাছাড়া ড্যাপ (ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান) নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে উত্তরা রাজউক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শহর পরিকল্পনাবিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব গাজীপুরের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে ভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব পাওয়া গেছে।

তবে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভবনের নকশা অনুমোদন কার্যক্রম জটিল থেকে আরও সহজতর করার দাবি সকলেই জানিয়েছেন।

অচলাবস্থা শুরু সেই ২০১৩ সাল থেকে: ২০১৩ সালে সাভারে আলোচিত রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের প্রাণহানি ও বহু শ্রমিকের আহত হবার ঘটনার পর রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণের অনুমোদন ক্ষমতা স্থগিত করেছিল সরকার। গত কয়েক বছর এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় গাজীপুর মহানগরে ভবন নির্মাণকারীদের উত্তরা রাজউক থেকে ভবনের নকশার অনুমোদন নিতে হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞার সুযোগে গাজীপুর সিটিতে এর মধ্যে অসংখ্য ভবন, কলকারখানা এবং দোকান, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। উত্তরা রাজউকের জনবল সঙ্কট ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় এসব অনুমোদনহীন স্থাপনার বিরুদ্ধে উত্তরা রাজউক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আইনগত তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে বিগত কয়েক বছরে গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব সরকারের হাতছাড়া হয়েছে।

গাজীপুরে রাজউকের কাছ থেকে নকশার অনুমোদন না নিয়েই ভবন নির্মাণ করেছেন এমন বেশ কয়েকজন ভবন মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেও ভবন নির্মাণের অনুমতি বা নকশার অনুমোদন না পেয়ে শেষে বাধ্য হয়েই এসব ভবন নির্মাণ করেছেন।

অচলাবস্থা সমাধানে যুক্ত হয়েছে জটিলতা: সম্প্রতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে। চিঠিতে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪১ ও উক্ত আইনের তৃতীয় তফসিলের ধারা ১৬ ও ১৭ অনুযায়ী নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতা বহির্ভূত সিটি করপোরেশনের অধীন এলাকায় ইমারত/স্থাপনা নকশা অনুমোদন এবং ভবনের গুণগতমান নিশ্চিতকরতে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশাল কমিটি গঠন করে এ কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন প্রধান প্রকৌশলী, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন (প্রধান প্রকৌশলী না থাকলে জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী/তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী/নির্বাহী প্রকৌশলী)।

এছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি), সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী (গণপূর্ত বিভাগ), শহর পরিকল্পনাবিদ (গাজীপুর সিটি করপোরেশন), ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সের বাংলাদেশের প্রতিনিধি, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের প্রতিনিধি, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি।

তবে এ কমিটির মাধ্যমে সিটি করপোরেশন থেকে ভবনের নকশা অনুমোদন দিতে গেলে জটিলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রাহকদের দুর্ভোগ বাড়বে বলে মনে করছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শহর পরিকল্পনাবিদরা।

এদিকে উত্তরা রাজউক বলছে গাজীপুর শহর নকশা অনুমোদনের কাজ বিগত দিনের মতই সফলতার সাথে করে যেতে চান তারা। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব গাজীপুরের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ‘গাজীপুর শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠিত হলে সকল জটিলতার অবসান হবে। তবে ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য অনুমোদনহীন ভবন চিহ্নিত করে ওই কমিটি আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে কি না এ ব্যাপারে চিঠিতে কোনো কিছুই উল্লেখ নেই। ফলে শুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে গত কয়েক বছরে সরকারের ছাতছাড়া হয়েছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

নকশা অনুমোদনের সহজ রাস্তা চায় নগরভবন: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শহর পরিকল্পনাবিদ সুমনা শারমিন ও সানজিদা হক জানিয়েছেন, বর্তমান নতুন কমিটির পূর্বে জেলা পরিষদ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে কমিটির ক্ষমতা এখনও বলবত রয়েছে। ফলে নতুন কমিটির পক্ষে নকশা অনুমোদন কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব। এ কমিটির কার্যক্রম শুরু হলে জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য জেলায় এ ধরনের কমিটির পক্ষে কার্যক্রর পরিচালনা করা সম্ভব হলেও গাজীপুরে তা সম্ভব নয়। কেননা গাজীপুর মহানগরীর অধিকাংশ এলাকা ড্যাপের আওতায়। যেটুকু বাকি আছে তা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। তাই আপাতত এ কমিটির কোনো কার্যক্রম হচ্ছে না বলেও তারা জানান।

অপরদিকে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও বর্তমান প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ঢাকাটাইমসকে জানান, বিগত দিনে তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে স্থগিত হওয়া নকশা অনুমোদনের ক্ষমতা ফিরে পেতে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে এ ধরনের কমিটি প্রত্যাশা কেউ করেনি। এ নতুন কমিটি গঠনে নগরবাসী তেমন কোনো সুফল পাবে না। এ ব্যাপারে তিনি মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র এমএ মান্নান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঐ চিঠি ও নতুন কমিটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান কাজল বলেন, ‘নতুন কমিটির ১১জন সদস্য একত্রিত হওয়াটাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এটা একটা জটিল কমিটি হয়েছে। এ কমিটির কার্যক্রম ধীর গতিতে চলবে। গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে নকশা অনুমোদনের ক্ষমতা সহজ পন্থায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে প্রদান করা হলে গ্রাহক হয়রানি কমবে বলে আমি মনে করি।’

রাজউক বলে গ্রাহকসেবা গ্রাহক বলে হয়রানি: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভুক্তভোগী কয়েকজন নাগরিকের সাথে আলাপকরে জানা গেছে, তারা বাড়ি নির্মাণের নকশা অনুমোদনের জন্য রাজউকের শরনাপন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু তারা দীর্ঘদিন যাবত সংশ্লিষ্ট বিভাগে ঘুরেও নকশার অনুমোদন পাননি। বরং তারা নানাভাবে হয়রানির ও দীর্ঘসূত্রতার শিকার হচ্ছেন। ঘুষ ছাড়া এখানে কথাই চলে না। একটি ছয়তলা ভবনের নকশা অনুমোদনে উৎকোচসহ প্রায় একলাখ টাকা গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে। অন্যথায় নকশায় ত্রুটির শেষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে কেউ কেউ রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন নিয়ে ঘর-বাড়ি নির্মাণ শুরু করলেও অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ঘর-বাড়ি বাস্তবে নির্মিত হচ্ছে কীনা তা রাজউকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা তদারকি করছে না। এ সুযোগে বিল্ডিং কোড উপেক্ষাসহ অনুমোদিত নকশা মোতাবেক নির্মাণ কাজ অনেকেই করছেন না। খরচ বাঁচাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হলেও দেখার কেউ নেই। এতে ভবন ধ্বসের ঝুঁকি বেড়েছে। এ ব্যাপারে রাউজউক কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদারকি না করলে অদূর ভবিষ্যতে গাজীপুরে রানা প্লাজার মতো আরও অনেক ট্রাজেডি ঘটতে পারে বলেও তারা মনে করছেন।

তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে উত্তরা রাজউকের অথরাইজড অফিসার জোন-১/১ সরদার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, গাজীপুরে নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে রাজউক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গাজীপুরে রাজউকের শাখা অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে গ্রাহক সেবা আরও উন্নত হবে। সে লক্ষ্যে গাজীপুরে রাজউকের একটি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ পুরো এলাকায় বেশ কয়েকটি কার্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একক পক্ষে নকশা অনুমোদন কতোটা মানসম্মত হবে এ ব্যাপারে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপের ম্যাপে দিশেহারা নগরবাসী: রাজউক সূত্রে জানা গেছে, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপের আগের ম্যাপ বাতিল হবেনা। তবে এ প্ল্যানে যেসব ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করা হবে। সে লক্ষ্যে ড্যাপ আওতাধীন প্রতিটি এলাকায় গিয়ে রাজউকের টিম স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করছে।

ড্যাপের ত্রুটিপূর্ণ ম্যাপের কারণে ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন নাগরিকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, যেখানে ২০ফুট রাস্তা হলেই যথেষ্ট সেখানে ৬০ ফুট রাস্তা দেখানো হয়েছে। ড্যাপের ম্যাপে গাজীপুর মহানগরীর চারিদিকে শুধু কৃষি জমি ও গ্রাম্য জমিই দেখা যায়। অথচ এসব জমিতে ইতোমধ্যে শত শত বহুতল ভবনসহ অসংখ্য শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে। যেসব এলাকায় ছোট-বড় আকারের শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে ড্যাপের ম্যাপে সেসব এলাকাও কৃষি জমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। ড্যাবের নকশা ঘরে বসে তৈরি করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। রাজউক ড্যাপের ম্যাপ দেখে গ্রাম্য জমিতে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিলেও বাস্তবে ছয়তলা ভবন নির্মাণ অহরহ হচ্ছে। এটা এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব অনিয়ম তদারকির দায়িত্বে থাকা রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাঝে মধ্যে অনুমোদনহীন বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে যায় বলে প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। রাজউক থেকে একটি ছয়তলা ভবনের ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদনের জন্য গ্রাহকদের ঘুষ দিতে হচ্ছে একলাখ টাকা থেকে দেড়লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে ড্যাপের ম্যাপ সংশোধন হলে গ্রাহক হয়রানি বন্ধসহ ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ হবে বলে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে।

গাজীপুর মহানগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ইব্রাহীম অভিযোগ করে বলেন, কলেজপাড়া এলাকাটি ড্যাপের ম্যাপে গ্রাম্য এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা রয়েছে। এ এলাকায় রাজউক কর্তৃপক্ষ পাঁচতলা ভবনের অনুমোদন না দিলেও ইতোমধ্যে ৮তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তার বাড়ির আশপাশে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে। রাজউক কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই এসব ভবন নির্মিত হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এছাড়াও বিগত দিনে এ ড্যাপ নিয়ে গাজীপুরে জোড়ালো আন্দোলন হলেও ড্যাপের ম্যাপ আজও সংশোধন হয়নি।

ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট অ্যাসোসিয়েশ অব গাজীপুরের সহ-সভাপতির প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘রাজউক হোক আর সিটি করপোরেশন হোক সর্বপ্রথম গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে হবে। গত কয়েক বছরে গাজীপুরে অনুমোদন না নিয়ে অসংখ্য স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করার। এতে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ হবে। ইতিমধ্যে জেলার ৪০-৫০টি কনসাল্টিং ফার্মে কর্মরত বহু কর্মঠ ও দক্ষ প্রকৌশলী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ও মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। এ অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :