হলে আটকে রেখে দোকান কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:৪৪ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:০৫

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর চানখাঁরপুলে বনফুল কোম্পানির দোকানের এক কর্মচারীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকালে গিয়াস উদ্দিন নামে বনফুলের এক কর্মচারীকে মোটরসাইকেলে করে দোকান থেকে উঠিয়ে নিয়ে হলে আটকে রাখেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেয়া কয়েকজন। তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য এক লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করা হয়। ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক উপ-সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম জিসান, হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রাকিবুল হাসান এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে হলের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে চানখাঁরপুলের ওই দোকানে খেতে যান আরিফুল ইসলাম। দোকানের ভেতর ধূমপান করায় ওই কর্মচারীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে ওই কর্মচারীকে তুলে নিয়ে আসেন তারা।

দোকানের মালিক আল আমিন জানান, দোকানের ভেতরে দুজন ছাত্র সিগারেট ধরালে গিয়াস তাদের নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিকাল পাঁচটার দিকে ওই দুইজনের একজনসহ ১০-১২ জন ছাত্র এসে গিয়াসকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়।

দোকান মালিক আল আমিন বলেন, ‘আমি ফেরাতে গেলে তারা আমাকেও বেধড়ক মারধর করে। পরে দুজনকেই মোটরসাইকেলে বসিয়ে ফজলুল হক হলে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে চড় থাপ্পড় দেয় ও সিগারেটের আগুন দিয়ে ঘাড়ে ছ্যাঁকা দেয়। পরে গিয়াস উদ্দিনকে আটকে রেখে তাকে ছাড়িতে নিতে এক লাখ টাকা চাওয়া হয়।’

আল আমিন আরও জানান, বিষয়টি বিভিন্ন মহলে জানাজানি হয়ে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গিয়াসকে ছেড়ে দেয় তারা। নগরীর মৎস্য ভবনের সামনে থেকে উদ্ধারের পর গিয়াসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট খোঁচার আঘাত দেখা গেছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিম বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তারা কারো নাম বলতে পারছে না। তবে অভিযুক্তরা যদি ছাত্রলীগের হল শাখার হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জিসান নামের একজনের সম্পৃক্ততার কথা শুনেছি। আবাসিক শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন, দোকানের কর্মচারী ছাত্রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।’

এ বিষয় জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স কল রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জাকির হোসাইন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর