গাইবান্ধায় ১১২ টন চাল জব্দ, পাঁচ গুদাম সিলগালা

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৪৮

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে গাইবান্ধায় পাঁচটি গুদামে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। জেলার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় চালানো অভিযানে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ১১২ মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে নগদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ টাকা ও তিন হাজার ১৭১টি চটের বস্তা। অভিযান শেষে গুদাম পাঁচটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের ঢোলভাঙ্গা নামক স্থানে মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনার রশিদের পাঁচটি গোডাউন থেকে এসব চাল, নগদ টাকা ও বস্তা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) এস এম আশিক রেজা।

হারুনার রশিদ পলাশবাড়ী উপজেলার ঝালিঙ্গি গ্রামের মোজাম্মেল হক খন্দকারের ছেলে। তিনি চালের পাইকারি ব্যবসায়ী।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিক রেজা ঢাকাটাইমসকে বলেন, খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক অবৈধভাবে চাল গুদামজাত করে রেখেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) নির্দেশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাঁচটি গুদাম থেকে ১১১ দশমিক ৬ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ টাকা ও তিন হাজার ১৭১টি চটের বস্তা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনার রশিদ পলাতক রয়েছেন। গুদামগুলো যেহেতু পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার সীমানায় অবস্থিত সেহেতু তার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর থানায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযান পরিচালনার সময় তার ব্যবসার বৈধ কোনো কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি।

অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রহিমা খাতুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আমজাদ হোসেন, সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরহাদ ইমরুল কায়েস ও পলাশবাড়ী থানার ওসি তদন্ত নবীউল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর