বহু প্রতিভাধর মিশুক মুনীরের জন্মদিন

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:০০ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:০৫

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মিশুক মুনীর। পুরোনাম আশফাক মুনীর চৌধুরী। একাধারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক এবং চলচ্চিত্র ভিডিও গ্রাহক ছিলেন। বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ বলা হয় তাকে। ১৯৫৯ সালের এই দিনে নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বহু প্রতিভাধর প্রয়াত এ সাংবাদিক।

পারিবারিক ও শিক্ষাজীবন: মিশুক মুনীরের আরও একটি বড় পরিচয় হচ্ছে- তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর মেজ ছেলে। তাঁর স্ত্রীর নাম মঞ্জলী কাজী। পড়াশোনা করেছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। এখানে থেকেই তিনি সাংবাদিকতার ওপরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর (১৯৭৯-১৯৮৩) ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ‘ভিডিও জার্নালিজম কোর্স’ চালু করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোদস্তুর সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি একুশে টেলিভিশনের প্রথম যাত্রায় হেড অফ নিউজ অপারেশনের দায়িত্ব নিয়ে দেশে আন্তর্জাতিক ধারার টেলিভিশন সাংবাদিকতার জন্ম দেন। নিজ হাতে গড়ে তোলেন একুশে টেলিভিশনের সংবাদ টিম।  ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি একুশে টিভির বার্তাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে দেশের গন্ডি ছাপিয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন মিশুক মুনীর। আফগানিস্থানে চিত্রায়িত প্রামান্য চিত্র রির্টান টু কান্দাহারের প্রধান চিত্রগ্রাহক ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন বিশ্বনির্মাতাদের সঙ্গেও। ২০০৭ সালে কানাডীয় সাংবাদিক পল জেয়োর সাথে প্রতিষ্ঠা করেন আন্তর্জাতিক সংবাদ টেলিভিশন রিয়েল নিউজ নেটওয়ার্ক। সেখানে তিনি সম্প্রচার প্রধান ও পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘ দিন। টরন্টোর ব্রেকথ্রো ফিল্মস, জে ফিল্মস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্স ক্যামেরাপারসন ও প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে তিনি এটিএন নিউজে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও তিনি লিবিয়ার সংকটের সময় সে দেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের সংবাদ সংগ্রহ করতে নিজেই ছুটে যান। মিশুক মুনীর একাডেমি অব কানাডিয়ান সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশনের এবং কানাডিয়ান ইনডিপেনডেন্ট ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং কানাডিয়ান সোসাইটি অব সিনেমাটোগ্রাফির সহযোগী সদস্য ছিলেন।

মৃত্যু: ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মিশুক মুনীর মানিকগঞ্জে এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের সঙ্গে নিহত হন। মৃত্যুর আগে তিনি তারেক মাসুদের পরিচালিত ‘রানওয়ে’ ছবিতে প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি ‘রিটার্ন টু কান্দাহার’ ওয়ার্ডস অব ফ্রিডম প্রমাণ্যচিত্রগুলোতেও কাজ করেছেন মিশুক মুনীর।

সূত্র: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এএইচ