পর্নগ্রাফি মামলা: সারারাত কেঁদেছিলেন কুসুম শিকদার

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৪২ | প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৭

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল কুসুম শিকদারের একটি মিউজিক ভিডিওকে কেন্দ্র করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার নাজমুল আহসান। মিউজিক ভিডিওর নামে পর্নোগ্রাফির অভিযোগে এনে তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। এতে কুসুম শিকদার ছাড়াও আরও সাতজনকে আসামি করা হয়।

সম্প্রতি ওই মামলা নিয়ে আবারও কথা বলেন কুসুম শিকদার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে পর্নগ্রাফি মামলার খবর পড়ে সারারাত কেঁদেছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান তিনি। বলেন, ‘খবরগুলো পড়ে সারারাত কেঁদেছি। ভেবেছিলাম ইন্ডাস্ট্রিই ছেড়ে দেবো। কিন্তু তখন মনে হয় যে দেশে আইয়ুব বাচ্চুর মতো লিজেন্ড তারকারা গান ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন! কতটা দুঃখ নিয়ে তারা বলেন চিন্তা করেছেন! তাই আমি মনে করি, মিডিয়ার পাশাপাশি দর্শকদেরও দায়িত্ববোধ থাকা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন মিডিয়ায় কাজ করছি। একাধিক নাটকে ছাড়াও তিনটি ছবিতেও কাজ করেছি। তিনটি ছবিই বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত। গৌতম ঘোষ স্যারের ‘শঙ্খচিল’ ছবিতেও কাজ করেছি। দর্শকদের এটুকু আস্থা নিশ্চয়ই আছে যে, কুসুম অন্তত কোনো আপত্তিকর কাজ করবে না। তাছাড়া আমি অন্য দেশের কোনো লেবেলের যদি কাজ করতাম তখন কাকে অভিযোগ জানাতো! আমি তো ইউটিউবের মতো গ্লোবাল প্লাটফর্মে গানটি রিলিজ দিয়েছি। কিন্তু কোনো হতাশা কাজ করেনি।’

গণমাধ্যমের ওপরে ক্ষোভ ঝেড়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘অবাক করার মতো ঘটনা হচ্ছে অনেক অনলাইন পোর্টাল আমার সাথে কোনো কথা না বলেই মনগড়া খবর ছেপেছে। একজন সিনিয়র অভিনেত্রী হিসেবে এই দায়বদ্ধতা নিয়ে কথা বলতেই পারি। খুবই অবাক হয়েছি। এটা আমার কাছে সবচেয়ে হাস্যকর। তাছাড়া নেশার লিরিকটা আমার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া। যে কাব্যগ্রন্থ আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিল। অথচ সেই লিরিকেই কিনা এমন অপবাদ!’

গত ৩ আগস্ট 'বঙ্গ' নামের প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেল 'বঙ্গবিডি' থেকে অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের 'নেশা' শিরোনামে একটি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পায়। মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিওতে কুসুম শিকদারের আবেদনময়ী উপস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে জোর সমালোচনা শুরু হয়। পরে ১৩ আগস্ট গানটির বৈধ-অবৈধ সব ভিডিও ও টিজার ইউটিউব থেকে সরানোর জন্য বাদী পক্ষের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব আইনি নোটিশ দেন। তারপরও গানটি না সরানোয় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয় কুসুম শিকদারের বিরুদ্ধে।

২০০২ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোজেনিক চ্যাম্পিয়ন হন কুসুম শিকদার। প্রাথমিক অবস্থায় মডেলিং ছাড়াও নাট্যজগতে পরিচিতি পেলেও ২০১০ সালে ‘গহিনে শব্দ’ ছবির মাধ্যমে ঢুকে পড়েন রূপালী পর্দায়ও। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছবি ‘লাল টিপ’ এর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ লাভ করেন।

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :