মুসলিম শিল্পীর তৈরি দুর্গা স্থান পাচ্ছে গিনেজে
ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে নির্মিত দুর্গা বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাঁশের ভাস্কর্য হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলতে চলেছে। বাঁশের তৈরি এই প্রতিমা লম্বায় ১০১ ফুট।
শিল্প নির্দেশক নুরুদ্দিন আহমেদের পরিকল্পনায় ৪০ জন শিল্পী দিনরাত এক করে গুয়াহাটির বিষ্ণুপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির জন্য এই শিল্পকর্মটি বানিয়েছেন।
নরুদ্দিন জানান, প্রথমে ঠিক হয়েছিল প্রতিমা হবে ১১০ ফুটের। সেইমতোই কাজ চলছিল গত ১ অগস্ট থেকে। কিন্তু ১৭ অগস্টের প্রবল ঝড়ে গোটা কাঠামোটি ভেঙে পড়ে।
এই প্রকল্পটির যিনি সমন্বয়ক, সেই দীপ আহমেদ এদিন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর আদৌ এই পরিকল্পনা রূপ পাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। কিন্তু আমরা একেবারের জন্যও হাল ছাড়িনি। চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলাম। ঠিক করেছিলাম, যেভাবেই হোক ছয় দিনের মধ্যে গোটা কাঠামোটিকে আমরা দাঁড় করাব।
চ্যালেঞ্জটা যে যথেষ্ট কঠিন ছিল, তা স্বীকার করে দীপ বলেন, আমরা সফল। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ৭৯ শতাংশ কাজ শেষ করে আনতে পেরেছি। আমাদের শিল্পী-ভাস্কররা রাত-দিন পরিশ্রম করে চলেছে। আশা করছি, দু-একদিনেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
১৯৭৫ সাল থেকে দুর্গা বানাচ্ছেন নুরুদ্দিন আহমেদ। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্প নির্দেশক জানালেন, প্রতিমা বানাতে বাঁশ ছাড়া আর কোনও উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। কাঠামো থেকে সাজপোশাক সবটাই বাঁশ ব্যবহার করে।
তিনি নিজে একজন মুসলিম হয়ে এভাবে হিন্দুদের উত্সবের দুর্গা বানাচ্ছেন দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এ নিয়ে নুরুদ্দিনের বক্তব্য পরিষ্কার, ‘শিল্পীর আবার কোনও ধর্ম হয় নাকি? মানবতার সেবাই আমার এক এবং একমাত্র ধর্ম।’
সূত্র: এই সময়
(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এসআই)