হাজীগঞ্জে গহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী পলাতক

ফাইল ছবি

জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় জান্নাতুল ফেরদৌস (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে, শ^শুরবাড়ির লোকজন বলছেন, গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।

রবিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া বেপারী বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকেই স্বামী মো. রানা (২৬) পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান গৃহবধূর মা পারুল বেগম। গৃহবধূ একই উপজেলার ৪ নং কালচোঁ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

মা পারুল বেগম বলেন, ‘দুই বছর আগে দুই লাখ টাকা (সিএনজি ক্রয় বাবদ) ও তিন ভরি স্বর্ণ দিয়ে বিয়ে দিয়েছি। তাদের দাম্পত্যময় জীবনে জুবায়ের নামে দুই বছরে পুত্র সন্তান রয়েছে। মো. রানা এর আগে আরো একটি বিয়ে করে। ওই বউকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। জান্নাতকেও মারধর করত। তাদের স্বামী-স্ত্রীর কলহ নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়েছে।’

গৃহবধূর ছোট বোন বলেন, ‘রাতে আমার বোন ও আমাকে মেরেছে দুলাভাই। সকালে আমি বাড়ি চলে যাই। পরে বোনের মৃত্যুর খবর পাই। আমার বোনকে ‘শ্বাসরোধ করে হত্যা’ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে গৃহবধূর শ্বশুর মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তাদের সাংসারিক কলহ হয়। এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছিল। সকালে ছেলে রানা কর্মের তাগিদে সিএনজি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। তারপর ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে জান্নাত।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলাই বলেন, ‘সুরতাহাল রির্পোট তৈরি করেছি। গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি।’ হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, ‘আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। ময়না তদন্ত হবার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)