মামলা প্রত্যাহার না করায় ‘ধর্ষিতাকে’ কুপিয়ে জখম

ফরিদপুরের সালথায় মামলা প্রত্যাহার না করায় ধর্ষণের চার মাস ১৭ বছরের এক কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মাথা, হাত ও পিঠে অন্তত ১০টি কোপের চিহ্ন রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আমিনুল হক বলেন, ধর্ষণ মামলাটির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়। এরমধ্যে আসামিরা ধর্ষিতাকে কুপিয়ে জখম করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি।

ওসি জানান, ধর্ষণ মামলার এক আসামি মিন্টু মোল্লাকে কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে দিপু মোল্লাসহ বাকি আসামিরা পালাতক থাকায় তাদের ধরা সম্ভাব হয়নি।

ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, গত ১৫ মে রাতে তার মেয়েকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে কয়েক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ১৬ মে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

কিশোরীটির বাবা আরও বলেন, মামলা করার পর থেকে আসামিরা আমাকে বিভিন্নভাবে মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নেয়ায় শনিবার রাতে আমার বাড়িতে এসে এ মামলার প্রধান আসামি দিপু মোল্লা, তার সহযোগী মাহফুজ মিয়া, মারকুজ মিয়া, ফারুক মিয়া ও মিলন মিয়াসহ ১৫-১৬ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মেয়েকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।

বল্লভদী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় ওই কিশোরী ও তার ছোট ভাই, ছোট বোন ও মা বাড়িতে ছিলেন। এসময় আসামিরা বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই কিশোরীকে কুপিয়ে জখম করে।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)