রাতের অন্ধকারে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৪০

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কলোনির তিন নম্বর গলিতে রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব চালিয়েছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। রবিবার রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

হামলার সময় সেলিম হোসেন নামে আট বছরের এক শিশুকে বেধড়ক মারপিট করার ঘটনাও ঘটেছে। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ওই শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শিরোইল কলোনির তিন নম্বর গলির মনির হোসেনের ছেলে শুভ শেখের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হাজরাপুকুরের কয়েকজন যুবকের বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে রাত ৯টার দিকে হাজরাপুকুর এলাকার সাব্বির, রাহুল, হৃদয়, সনি ও মোমিনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী তিন নম্বর গলিতে প্রবেশ করে। এ সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।

ওই এলাকায় প্রবেশের পর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙে ফেলে। আটটি মিটারে আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া ২০ থেকে ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সন্ত্রাসীরা বাড়ির টিনের বেড়া এবং গ্রিল ভেঙে ফেলে। এলাকার বাসিন্দাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করে।

একপর্যায়ে অস্ত্র প্রদর্শন করে ত্রাস সৃষ্টি করে তারা। এ সময় এলাকাবাসী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাতে ওই এলাকার রফিকের ছেলে সেলিম নামে এক শিশু আহত হয়। তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওই এলাকার বাসিন্দা রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমন জানান, মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা তার বাড়ির মিটার ও গ্রিল ভাঙচুর করেছে। এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হামলার ঘটনায় সোমবার দুপুরে থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/জেডএ)