বিসিবির এজিএমের বৈধতার বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ সোমবার শুনানির পর আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। বিসিবির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে গতকাল বিসিবির এজিএমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

আগামী ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু ওই সভাকে বেআইন দাবি করে গত সপ্তাহে আইনি নোটিশ পাঠান মোবাশ্বের হোসেন। সাধারণ সভা ও বিশেষ সভাসহ বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিসিবি, বিসিবি সভাপতিসহ সাত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

নোটিশে বলা হয়েছে, এ নোটিশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিসিবিকে বার্ষিক ও বিশেষ সভা আয়োজনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে বর্তমান বোর্ড সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আইনি নোটিশ পাওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, সেটি আগামী তিন দিনের মধ্যে না জানালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়েছে।

আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, ‘১২ সালের বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি রায় দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায় অনুযায়ী নির্বাচিত বিসিবির বর্তমান কমিটির কোন বৈধতা নেই। যেহেতু গঠনতন্ত্রই অবৈধ, তাহলে ওই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠিত বর্তমান কমিটিও অবৈধ। সেজন্য আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বলেছি বিসিবি যেন এজিএম, ইজিএমসহ কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনি নোটিশ দেয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এমএবি/এমআর)