আশকোনার জঙ্গি মামলায় প্রতিবেদন ৭ নভেম্বর

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:২১

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনার সূর্যভিলায় জঙ্গি অভিযানের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

সোমবার মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. সায়েদুর রহমান প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে মামলাটিতে গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা ওরফে সুমাইয়া ওরফে মারজুন এবং মাঈনুল ইমলাম মুছার স্ত্রী তৃষ্ণা মনি ওরফে উম্মে আয়েশা গত ৯ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে তারা এ স্বীকারোক্তি দেন।

গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে আশকোনার ওই বাড়িতে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। অভিযানের সময় জঙ্গি নেতা সুমনের স্ত্রী শাকিরা নিজে আত্মঘাতী বোমা ফাটিয়ে আহত হয়ে মারা যায়। সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান সামিা ওরফে আফিয়া আহত হয়। অন্যদিকে জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলে আফিফ কাদেরী ওরফে আদর নিজে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে।

পরে পুলিশ ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে মোট তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, ১৯টি গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম, কনটেইনার ও স্প্লিন্টার ছাড়াও বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিট গ্রেনেডগুলো দিনভর দফায় দফায় নিষ্ক্রিয় করে। আস্তানা থেকে বেশ কিছু পোড়া টাকার অংশও উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছে, নিহত আফিফ প্রায় ১২ লাখ টাকা নিজ হাতে পুড়িয়ে ফেলে এবং ঘরে থাকা সবগুলো ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে।

ওই ঘটনা রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হলেন- শাকিরা ওরফে তাহিরা, সামিয়া ওরফে আফিফা, আফিফ কাদেরী ওরফে আদর, মাইনুল ইসলাম ওরফে আবু মুছা, রাশেদুর রহমান সুমন, মো. সেলিম ও মো. ফিরোজ।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/আরজে/জেডএ)