জঙ্গিবাদে অর্থায়ন মামলায় রিমান্ডে ১১ জঙ্গি

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৩১ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জঙ্গিবাদে অর্থায়নের মামলায় রাজশাহী মহানগরীর হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার নাহিদুদ্দোজা মিঞা ওরফে নাহিদসহ ১১ জন জঙ্গির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস আসামিদের দশ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। গত রবিবার তিনি ওই রিমান্ড আবেদন করেন। ওইদিন মামলার কেস ডকেট (সিডি) না থাকায় সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করা হয়।

অপর রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হেলাল উদ্দিন, আল আমিন, ফয়সাল ওরফে তুহিন, মঈন খান, আমজাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম, জাহেদুল্লাহ, আল-মামুন, আল-আমিন ও টলি নাথ।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪ এর অপারেশন দল। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি ল্যাপটপ, ১২টি মোবাইল, হটি কার্ড পাঞ্চিং মেশিন, পাসপোর্ট, ভোটার আইডিসহ বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খানের দাবি, ‘স্পেনের আইটি কোম্পানি সিনটেক ও বাংলাদেশের ওয়াইমি একই মালিকের প্রতিষ্ঠান। মালিকের নাম আতাউল হক সবুজ। তিনি স্পেনে বসবাস করেন। তার কোম্পানি সিনটেকের মাধ্যমে ওয়াইমি অর্থ পাঠাতো। যার ৪৭ শতাংশ বেতন ও অবকাঠামোগত কাজে ব্যয় হতো। বাকিটা জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ব্যয় হতো।’ আসামিদের মধ্যে সাত জন ওয়াইমির ও বাকিরা অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। একই মালিকের দুই প্রতিষ্ঠানে স্পেন ও বাংলাদেশে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একইসঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে। স্পেনে আতাউল হক সবুজকেও আটক করা হয়েছে। সবুজ ২০১৫ সালে ১০ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বোম্বিংয়ে নিহত জঙ্গি শিপুল হকের ভাই। বিদেশ থেকে জঙ্গি অর্থায়ন আনার কাজ শুরুতে শিপলু করতো। তার মালিকানায় আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার কোম্পানি ছিল ‘আইবেক’। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নয়টি দেশে তার শাখা ছিল। আইবেকের প্রধান কার্যালয় ছিল আমেরিকায়।’ ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর আইবেকের ৫০ হাজার ডলার জঙ্গি অর্থায়নের কাজে ব্যবহারের আগেই র‌্যাবের হাতে আটক হয়। যা জঙ্গি বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেটের মাধ্যমে তামীম চৌধুরীর কাছে পৌঁছানোর কথা ছিল। জঙ্গি অর্থায়নে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইবেক শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের শাখাও বন্ধ করে দেয় সে দেশের কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/আরজে/জেডএ)