খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জশুনানি পেছাল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ২৫ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহামুদুল কবীর আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এই তারিখ ধার্য করেন।
আজ মামলাটির চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
অন্যদিকে মামলার অপর আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে মামলার কার্যক্রমের ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক আগামী ২৫ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামিন পান খালেদা।
মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- চারদলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/আরজে/এমআর