প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ: আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৯

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

গফরগাঁওয়ের পাঁচবাগ ইউনিয়নে ঝাওয়াইল গ্রামে আদম বেপারীদের পিটুনিতে প্রাণ বাঁচাতে ব্রহ্মপুত্রে ঝাঁপ দিয়ে সবুজ মিয়ার (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মড়লবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ সবুজ মিয়ার।

এরই প্রতিবাদে সোমবার বেলা ১১টায় পাঁচবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা। পরে বিক্ষোভকারীরা আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ কামরুল ইসলাম ফকরুল দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে বক্তব্য দেন।


এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর রাতেই সবুজের বাবা শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচবাগ ইউপি সদস্য ঝিতু মিয়া, পালের বাজার গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জহিরুল, জয়নাল, ঝাওয়াইল গ্রামের আদম বেপারী আলী নেওয়াজ, সন্ত্রাসী সেলিম ও চৌকা গ্রামের মাজেদুলসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার আসামি আলী নেওয়াজ ও স্বপন এখন জেল হাজতে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের ঝাওয়াইল গ্রামের আদম বেপারী আলী নেওয়াজ বিদেশের পাঠানোর জন্য একই গ্রামের রাসেল, পারভেজ ও সাইদুলের কাছ থেকে ১০লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বিদেশ না পাঠিয়ে ওই টাকা নিয়ে সটকে পড়েন নেওয়াজ। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে আদম বেপারী আলী নেওয়াজ জমি রেজিস্ট্রি করতে গফরগাঁও আসার খবর শুনে নিখোঁজ সবুজ, তার রাসেল, পারভেজ, বাবা শহীদুল্লাহ ও মামা সাইজুলকে নিয়ে গফরগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। সেখানে আদম বেপারী আলী নেওয়াজের কাছে তারা বিদেশে পাঠানোর জন্য দেয়া সম্পুন্ন টাকা ফেরত চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেওয়াজ ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা বাড়ি ফেরার পথে তেতুলিয়া গ্রামের মড়লবাড়ি এলাকায় সবুজদের ইজিবাইক আটকিয়ে সবুজ ও তাদের ভাইয়ের বেদম পিটুনি ও দাঁ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় সবুজ জীবন বাঁচাতে পাশের ব্রহ্মপুত্রে নদে ঝাঁপ দেন।
নিখোঁজ সবুজের বাবা শহীদুল্লাহ ও ছোট ভাই পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, আদম বেপারী তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত অবস্থায় আমরা পালাতে সক্ষম হলেও সবুজকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয়।

গফরগাঁও থানার ওসি একে এম মাহবুবুল আলম, এ ঘটনায় নিখোঁজ সবুজের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

(ঢাকাটইমস/২৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)