সঙ্গী জোগাড়ই মের্কেলের বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:৫৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। জয় এসেছে ঠিকই, কিন্তু খুব মসৃণ নয় এই জয়। বরং, মের্কেলের দল ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাট ইউনিয়ন গত ৭০ বছরে এত খারাপ ফল কখনও করেনি। আর সেই সুযোগে দেশটির পার্লামেন্টে প্রবেশের বড় রাস্তা করে নিয়েছে ‘অল্টারনেটিভ ফর ডয়েশলান্ড’ (এএফডি)।

গত পাঁচ দশকে এই প্রথম চরম ডানপন্থী দলের এতো বড় উত্থানই এখন মের্কেলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ৭০৯ আসনের পার্লামেন্টে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে অন্তত ৯৪টি আসন পাবে অতি দক্ষিণ এএফডি।

৩৩ শতাংশ ভোট পেয়ে মের্কেলের মধ্য-দক্ষিণ ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাট ইউনিয়ন সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও জোট গড়তে শুরু করতে হবে দর কষাকষি। কারণ তার দলের সঙ্গে আগে যাদের জোট ছিল, সেই মধ্য-বাম দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট (এসপিডি) জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিরোধীর আসনে বসতে চায়। ২১ শতাংশ ভোট গিয়েছে তাদের ঝুলিতে। তাই মের্কেলের হাতে রয়েছে ছোট ছোট কিছু দল।

অতি দক্ষিণ দলকে নিয়ে গোড়া থেকেই একটা আশঙ্কা ছিল। বিশেষ করে এই গোষ্ঠীর কাছেই তুমুল সমালোচিত হয়েছিল মের্কেলের শরণার্থী নীতি। ভোটের হার দেখে খুশি নন মের্কেল। ফল ঘোষণার পরে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আরও ভাল ফল আশা করেছিলাম। পাশাপাশি এএফডি-র উত্থানও (১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা) ভাঁজ ফেলেছে মের্কেলের কপালে।

তিনি বলেন, তার সরকার আর্থিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে। শরণার্থী প্রবেশের মূল কারণগুলোও ভেবে দেখতে হবে। এএফডি-কে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের কথা শুনতে আগ্রহী মের্কেল। তাদের অভিযোগ, উদ্বেগ ও চিন্তা শুনতে চান তিনি। মের্কেল বলেন, ‘আজ আমাদের হাতে মানুষের রায় রয়েছে। তাঁরা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা শান্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করব। কথা হবে জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও।’

তবে জোটসঙ্গী বলতে যারা আছে, তাদের কতটা সমর্থন পাবেন মের্কেল, তা নিয়েও সংশয় আছে। ব্যবসা-ঘেঁষা এফডিপি এবং গ্রিন পার্টি কেউ কাউকে পছন্দ করে না। তারা সরকারের জোটসঙ্গী হলে কী অবস্থা হবে, সেটা ভাবার বিষয়। তা ছাড়া, এই দলগুলোও মনে করে, মের্কেলের সরকারে যোগ দিলে তারা নিজের সমর্থকদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/জেএস)