দেশে কিস্তিতে মোটরসাইকেল বিক্রি করছে হিরো

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:১৯ | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৪

ভারতের মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিরো মোটর করপোরেশন বাংলাদেশের বাজারে কিস্তিতে মোটরসাইকেল বিক্রি শুরু করেছে। এদেশীয় পরিবেশক নিলয় মটরস লিমিটেড এই সুবিধা দিচ্ছে।

২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুধু ঢাকায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। পরে দেশব্যাপী কিস্তির সুবিধা বিস্তৃত হবে বলে জানায় নিলয় মোটর্স।

প্রতিষ্ঠানটির তেজগাঁও শাখার বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ কামরুল হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হিরোর মোটরসাইকেল সর্বস্তরের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এই প্রথম কিস্তিতে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা শহরের ক্রেতারা এই সুবিধা পাবেন। পর্যায়ক্রমে ঢাকার বাইরেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।’

মুহাম্মদ কামরুল হাসান, ক্রেতারা সর্বনিম্ন ৩২ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে হিরোর মোটরসাইকেল বুঝে নিতে পারবেন। ৩ মাসে মূল্য পরিশোধ করলে নগদ সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ছয় ও ১২ মাসের সহজ কিস্তির সুবিধা রয়েছে।

নিলয় মটরস লিমিটেডের হিরো মোটরসাইকেলের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান রয়েল অটোর তেজগাঁও বিক্রয় কেন্দ্রের শাখা ব্যবস্থাপক এম এ জলিল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হিরোর আটটি মোটরসাইকেলে কিস্তি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো হলো- এইচএফ প্লাস (সেলফ), স্প্লেন্ডর প্লাস (সেলফ), আইস্মার্ট (১১০), গ্ল্যামার (ডিস্ক), অ্যাচিভার, হাঙ্ক (ডিডি), এক্সট্রিম স্পোর্টস (এসডি) ও এক্সট্রিম স্পোর্টস (ডিডি)।

এসব বাইকে তিন, ছয় ও ১২ মাসের কিস্তি সুবিধা মিলবে। ছয় মাসের কিস্তি সুবিধা নিতে হলে মোটরসাইকেলের মূল্যের ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। বাকিটা কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। অন্যদিকে ১২ মাসের কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে হলে বাইকের মূল্যের ৫০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে।

কিস্তিতে কেনার নিয়ম সম্পর্কে মুহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, প্রথমে ১৫০ টাকা দিয়ে আবেদন ফর্ম নিতে হবে। এ ছাড়া কিস্তির প্রক্রিয়া শুরুর জন্য দিতে হবে ৩৫০ টাকা ডকুমেন্টশন ফি।

কিস্তিতে হিরোর বাইক কিনতে যা যা লাগবে

১. জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্টের ফটোকপি;

২. স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র স্বরূপ জন্মনিবন্ধন সনদ; বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্র কিংবা ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি;

৩. চাকরিজীবী হলে বেতনের স্লিপ কিংবা হিউম্যান রিসোর্সের চিঠি;

৪. ব্যবসায়ী হলে ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিংবা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন। চাকরিজীবী হলে ছঢ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, তিন মাসের বেতনের স্লিপ, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন কিংবা হিউম্যান রিসোর্সের পক্ষ থেকে চিঠি।

হিরোর কিস্তিতে বিক্রীত সব বাইকের রেজিস্ট্রেশন হবে নিলয় মটরস লিমিটেডের নামে। কিস্তি শেষ হলে নাম পরিবর্তন করে নেয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে নাম পরিবর্তনের খরচের অর্ধেক বহন করবে প্রতিষ্ঠান, বাকিটা মোটরসাইকেলের মালিককে দিতে হবে।

কেউ মোটরসাইকেল কিনে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারলে আইনানানুগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিক্রীত মোটরসাইকেল গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়ে নেবে নিলয় মটরস।

তবে শিক্ষার্থীদের কাছে কিস্তিতে মোটরসাইকেল বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এজেড/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা