শিমুর বিদায়ের পর অবশেষে এলো সাপেকাটার ভ্যাকসিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২০

টাঙ্গাইলের বাসাইলে গত ২০ সেপ্টেম্বর সাপের কামড়ে ভ্যাকসিনের অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার শিমুর মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় শিমু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন- টাঙ্গাইলের কোথাও কি সাপে কাটার ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে শেষ স্ট্যাটাস নিয়ে ঢাকাটাইমসে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাপে কাটার ভ্যাকসিনটি আনা হয়েছে।

বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেফালী খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাপের বিষের ভ্যাকসিনটি আনা হয়েছে। এখন থেকে সাপে কাটা সব রোগীই বিনামূল্যে ভ্যাকসিনটি পাবে।

আয়েশা আক্তার শিমুর মৃত্যুর পর গত এক সপ্তাহে শিশুসহ ছয়জন সাপের দংশনের শিকার হয়েছে। সর্প দংশনের এ ঘটনা ঘটেছে নিহত শিমুর এলাকা কাঞ্চনপুরে। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ায় তারা সবাই এখন সুস্থ।

আহতরা হলেন, উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকার বকুল মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার (৭), সোহেল মিয়ার স্ত্রী আসমা আক্তার, একই এলাকার রিমেল (১৩), রুবেল মিয়া (২৭), বাইতপাড়ার কমল চকিদারের স্ত্রী আশু রাণী ও সাদেকের স্ত্রী।

সাম্প্রতিক বর্ষায় চারদিকে থৈ থৈ পানি থাকায় মানুষের থাকার ঘরেও সাপ বাসা বেঁধেছে। যেকোনো সময়, যে কেউ দংশনের শিকার হতে পারে। ফলে বাসাইলের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সর্পদংশনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাপের কামড়ে ভ্যাকসিনের অভাবে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া কাটতে না কাটতেই আরও ছয়জন সাপের কামড়ের শিকার হয়েছে। এটা রীতিমত একটি আতঙ্ক।

জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর সাপে কাটা ভ্যাকসিনের অভাবে আয়েশা আক্তার শিমু মারা যান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিমু ৩৬ তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সম্ভাবনাময়ী শিমুর মৃত্যুতে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। এঘটনায় বাসাইল উপজেলাসহ টাঙ্গাইলের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ভ্যাকসিন রাখার দাবিতে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। পরে রবিবার বিকালে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ভ্যাকসিন আনা হয়েছে।

নিহত শিমুর বাবা নুরু মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ভ্যাকসিনটি আনা হয়ে শুনে তিনি মেয়ে হারিয়েও খুশি হন। তিনি বলেন, আমার মেয়ের মতো আর জানি কাউকে বিনা চিকিৎসায় মরতে না হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/আরকে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :