অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লালমনিরহাটের পুরান বাজার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
 | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:২৪

লালমনিরহাট পৌর শহরে একই আঙিনায় গড়ে ওঠা মসজিদ আর মন্দিরের আসেন মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মসজিদে যেমন প্রতিদিন পাঁচবার আজান হয়, মুসল্লিরা নামাজ পড়েন, তেমনি রোজ সকালে আর সন্ধ্যায় ওই মসজিদের গা ঘেঁষে থাকা মন্দিরেও হয় উলু ধ্বনি। এতে কারও কোনোদিন বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি।

বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমনিরহাট শহরের পুরান বাজার এলাকার ওই মন্দিরে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এর গা ঘেঁষে থাকা মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করে চলেছেন মুসল্লিরা। তবে নামাজ শেষে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে যথারীতি দুর্গা পূজা করে চলেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও। শহরের পুরানবাজার এলাকায় অবস্থিত এই মসজিদ ও মন্দির। মসজিদ ও মন্দির প্রায় কাছাকাছি সময়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও এ সম্পর্কিত সঠিক কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি।

১৩০২ বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ১৮৯৫ সালে দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠার আগে এখানে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পুরানবাজার এলাকাকে অনেকে কালীবাড়ি নামে অভিহিত করে থাকেন।

এদিকে ১৩০৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৯০০ সালে এখানে একটি নামাজঘর নির্মিত হয়। এই নামাজঘরটিই পরে পুরানবাজার জামে মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে।

এরপর থেকেই এখানে সম্প্রীতির সঙ্গে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে দুটি সম্প্রদায়ের মানুষ।

কালীবাড়ি দুর্গা মন্দিরের পুরোহিত শংকর চক্রবর্তী এবং পুরানবাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মসজিদ ও মন্দির কমিটির সদস্যরা বসে ঠিক করে নেন- কখন এবং কীভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আরিফ জানান, অসাম্প্রদায়িক চেতনারভিত্তিতে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই লালমনিরহাট। দুই চোখে না দেখলে অনুভব করা যাবে না। এখানে একই সময়ে দুটি সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন। মসজিদ ও মন্দিরসংলগ্ন খোলা জায়গাটিতে পূজা উপলক্ষে যেমন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মেলা বসে, তেমনি মুসলমানদের ওয়াজ মাহফিল এবং জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :