আবার স্কুলে যেতে চায় মেধাবী শান্তা

আরিফ আজম, ফেনী
 | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৪১

নয় বছরের ফুটফুটে শিশু সাজেদা আক্তার শান্তা। যে বয়সে বই-খাতা নিয়ে সহপাঠীদের সাথে স্কুলে ছুটে বেড়ানোর কথা, সেই বয়সে অজানা রোগে শয্যাশায়ী।

ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তা।

এলাকাবাসী, বিদ্যালয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শান্তা এখন আর স্কুলে যেতে পারছে না। চলতি বছরের শুরুতে কিছুদিন স্কুলে গেলেও শরীরে অজানা রোগ দেখা দেয়। পরবর্তীতে ফেনী শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেয়া হয়। অসহায় পিতা শাহআলম মেয়ের চিকিৎসার জন্য একমাত্র সম্বল সিএনজি অটোরিকশাটিও বিক্রি করে দেন। একবার অপারেশনসহ ইতোমধ্যে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে।

শাহআলম জানান, ২০১৬ সাল থেকে মেয়েটি বুকে ও পেটে প্রচণ্ড ব্যথায় কষ্ট করছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামে চিকিৎসা করা হলেও কোন ফল হয়নি। শান্তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভাড়া গাড়ি চালিয়ে পাঁচজনের সংসার টানতে হয়। তাকে ভারত নিতে হলে প্রায় ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। টাকার অভাবে তাকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান, দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শান্তা সবার বড়। অন্য দুই ছেলের বয়স সাড়ে ৬ বছর ও দুই বছর।

শান্তার সাথে কথা হলে সে জানায়, তার বুকে ও পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথার কারণে চলতে-ফিরতে পারে না। সবাইকে স্কুলে যেতে দেখলে আমারও স্কুলে যেতে মন চায়।

আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের জানান, ক্লাসের ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শান্তার রোল ১। তৃতীয় শ্রেণিতেও তার রোল ১ ছিল। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকা স্বত্তেও অসুস্থতার কারণে চলতি বছর ক্লাস করতে পারেনি।

তিনি আরো জানান, সহায়-সম্বল হারিয়ে শান্তার বাবা শাহআলম অসহায় হয়ে পড়েছেন। তার চিকিৎসা সহযোগিতায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :