মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিতেই চলছে লালমনিরহাট ছাত্রলীগ

এস. কে সাহেদ, লালমনিরহাট
 | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:৩১

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় দীর্ঘদিন থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে কার্যক্রম। ছাত্রলীগের অধিকাংশ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ। এ পেক্ষাপটে ছাত্রলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ জুলাইয়ের মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলা, পাটগ্রাম পৌরসভা ও পাটগ্রাম সরকারি কলেজ ও ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যে হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা ও সদর পৌরসভা কমিটি গঠনের নির্দেশ থাকলেও নানা জটিলতায় কমিটি গঠনের পদক্ষেপ নিতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাতটি কমিটির মধ্যে ছয়টিই মেয়াদ উত্তীর্ণ।

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে ২০১৫ সালে। ওই কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সম্পাদক জাভেদ হোসেন বক্কর দুইজনেই ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ও ছাত্রত্ব থাকলেও তাদের আওতাধানীন কমিটিগুলোর মধ্যে সদর উপজেলা ছাড়া সব কমিটিই মেয়াদ উত্তীর্ণ। যারা নেতত্বে আছেন- অধিকাংশই বিবাহিত, চাকরিজীবী ও অনেকের ছাত্রত্বও নেই। সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে চলতি বছর। ওই কমিটির সভাপতি এনামুল হক সাঈদ ও সম্পাদক লুৎফর রহমান আরঙ্গ দুজনেই অবিবাহিত এবং ছাত্রত্ব আছে। তবে পৌর কমিটির সভাপতি আসাদ লিমনের বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি হওয়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে আছেন শরিফ আহমেদ মোহন ও সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পাপু। এ কমিটির সম্মেলন হয়েছে ৬ বছর আগে ২০১২ সালে।

পাটগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছে ২০১৩ সালে। ওই কমিটির সভাপতি আকতারুল ইসলাম সুমন ও সম্পাদক সাঈদ উর রহমান স্বপন দুজনই বিবাহিত। পাটগ্রাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি দেবাশীষ কুমার রায় ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব আছেন মিল্লাত হোসেন। দুজন অবিবাহিত হলেও ওই কমিটি হয়েছে ৬ বছর আগে ২০১২ সালে।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দলের কারণেই ওই দুই ইউনিট কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ওই উপজেলায় ছাত্রলীগের কিছুটা দ্বন্দ্ব রয়েছে চোখে পড়ার মত।

হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মামুন ও সম্পাদক ফাহিম শাহরিয়ার জিহান অবিবাহিত হলেও তাদের সম্মেলন হয়েছে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি।

কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে ২০১৩ সালে। ওই কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ ও সম্পাদক আনিছুর রহমান দুজনেই বিবাহিত ও চাকরিজীবি। ফলে ওই উপজেলা ছাত্রলীগ অনেকটা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়েছে।

আদিতমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছে ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ওই কমিটির সভাপতি কামাল সরকার বিবাহিত ও শিক্ষক। তবে সম্পাদক মাইদুল ইসলাম দাবি করেছেন তিনি অবিবাহিত।

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক জাবেদ হোসেন বক্কর বলেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার জেলা ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ছাত্রলীগে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই সব মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠন করা হবে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সময় ও সহযোগিতা না করায় কমিটি গঠনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :