জামালপুরে মেয়ের লাশের পুনঃময়নাতদন্তের দাবি বাবার

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:২৯

মেয়ে হত্যায় সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে পুনঃময়নাতদন্ত দাবি করেছেন নিহত পপির বাবা রফিকুল ইসলাম রফিক খাঁ।

বৃহস্পতিবার বিকালে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।

দরিদ্র রফিকুল সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রায় ১০ বছর আগে মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের পুত্র ইসমতের সাথে একমাত্র কন্যা পপিকে বিয়ে দেয়া হয়। একমাত্র কন্যার সুখের জন্য কয়েক দফায় প্রায় দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়েছে। এরপরও যৌতুকের জন্য পপিকে নির্যাতন করতে থাকে ইসমত। শশুর-শাশুড়িও মানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রায় দুই বছর আগে সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে পপি। পরে দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসার পর দুইটি সন্তানের ভবিষতের কথা ভেবে স্বামীর ঘরে যায় পপি। এরপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে স্বামী ইসমত বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টায় পপিকে মারপিট করে শ্বাষরোধ করে হত্যা করে। হত্যা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরদিন সকালে ইসমত খবর দেয় গলায় ফাঁস দিয়ে পপি আত্মহত্যা করেছে।

পরে আমরা পপির শ্বশুর বাড়ি গিয়ে মেয়ের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি। এসময় পপির স্বামী ও শশুর-শাশুড়িসহ কোন লোক বাড়িতে ছিল না।

পপির বাবা বলেন, প্রতিবেশীরা তাদের জানায়- পপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত পপির মুখমণ্ডলে বালিশের তুলা লাগানোসহ গালা ও শরীরের কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়ে।

পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পপির লাশের সুরতহার রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পপির বাবাকেও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর চান। অশিক্ষিত রফিক সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোলাইমান মামলা করার কথা বলে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, মেয়ের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়। পরিদন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোলাইমান বলেন, আগেই অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে নতুন কোন মামলা হবে না। থানায় মামলা দিতে না পেয়ে ২৯ মে জামালপুর জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মেলান্দহ আমলি আদালতে ইসমতসহ ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন রফিক খাঁ।

রফিক খাঁর অভিযোগ করে বলেন, আসামিরা পুলিশকে দিয়ে যেভাবে হত্যাকে অপমৃত্যুর মামলা সাজিয়েছে। তেমনিভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংগ্রহ করে তার কন্যার হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি তার কন্যা হত্যার পুনঃময়নাতদন্তের দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :