ঢাকা-১৮ উদ্ধারে বিএনপিতে আবার কামরুল

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:৩৬ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:৩৭

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর একেবারে উত্তর-পূর্ব কোণের অন্যতম এলাকা উত্তরা-খিলক্ষেত নিয়ে সংসদীয় আসন ঢাকা-১৮। অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও আগাম নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা নানা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন কর্মী ও এলাকাবাসীকে।  

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা মহানগরের হরিরামপুর, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, ডুমনী ইউনিয়নসহ বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনে বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের সাহারা খাতুন। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচন হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি হারায় তার দীর্ঘদিন  নিজের দখলে থাকা আসনটি।

২০০৮ সাল থেকে হাতছাড়া আসনটি আগামী নির্বাচনে পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। এ জন্য দলের মনোনয়ন চেষ্টায় আছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় চার নেতা। এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন দিবস ও উপলক্ষকে কেন্দ্র করে পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেটের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় থেকে হাইকমান্ডের নজর কাড়ারও চেষ্টা করছেন।

ঢাকা-১৮ আসনটি দখলে আনতে আবার মাঠে নেমেছেন এই আসনে বিএনপির পুরনো এমপি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম।  মনোনয়ন চাইবেন নির্বাচনে নতুন মুখ ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুলাল।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের বর্তমান তথ্য সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। এবার তিনি খুলনা-৪ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। দলের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।

আগেরবার এমপি থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেননি মেজর কামরুল। এবার নির্বাচনী মাঠে নামার জোর চেষ্টা করছেন তিনি। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আশা করি এই আসনটি আমি বিএনপিকে উপহার দিতে পারব।

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এম কফিল উদ্দিন আহমেদ। সাবেক এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৭২টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকায় সামাজিক নানা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন কফিল উদ্দিন।

ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেছি। ছাত্রজীবনে আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ১৯৯০-এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনে আমি রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখি। ৭২টি রাজনৈতিক মামলা মাথায় নিয়ে আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি।’

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে কফিল বলেন, ‘দলের মনোনয়ন পেলে এ আসনটি আমি পুনরুদ্ধার করতে পারব ।’

যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর সবশেষ কমিটিতে উত্তরের সভাপতি হয়েছেন। দলের কর্মসূচিতেও সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছেন। ঢাকাটাইমসকে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দল মনোনয়ন দিলে বিএনপিকে এ আসনটি উপহার দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

উত্তরা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুলাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, এক-এগারোর পর থেকে দশবার কারাভোগ করেছি। ৩২টি রাজনৈতিক মামলা আমার বিরুদ্ধে। দলের ঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচিতে উত্তরা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমি দলের জন্য কাজ করছি।

নির্বাচনের জন্য দলের পক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। মনোনয়ন পেলে আমি আসনটি পুনরুদ্ধা করতে সক্ষম হব।’

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/মোআ)