সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ শেখ হাসিনা

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:১৮ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:২৯

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকাটাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বলেছেন, ১৯৭১ সালে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিল। সে জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা, যাতে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।

 বৃহস্পতিবার ফরিদপুর-১ আসন তথা আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী এ তিন উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে দোলন এসব কথা বলেন। 

আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রাম ময়রাবাড়ি পূজামণ্ডপ, শিরগ্রাম মনোরঞ্জন শাহার বাড়ি পূজামণ্ডপ, শিরগ্রাম সার্বজনীন বারোয়ারী পূজামণ্ডপ, শিরগ্রাম বড়বাড়ি সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, বোয়ালমারী উপজেলার সদর বাজারে নাট মন্দিরে সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, বড় কামারগ্রাম আখড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, ছোট কামারগ্রাম চাতাল সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, ছোট কামারগ্রাম কলেজ রোড সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, মধুখালী উপজেলার দাশপাড়া নরেন্দ্রনাথ শাহার বাড়ি পূজামণ্ডপসহ এ তিন উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন ও দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান আরিফুর রহমান দোলন।

কৃষকলীগের সহ-সভাপতি দোলন বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার-এ অধিকার বর্তমান সরকার নিশ্চিত করেছে। দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এ কারণে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষই নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারছেন।

দোলন বলেন, ‘কোনো ধর্মই মারামারি, হানাহানি সমর্থন করে না। সব ধর্মেই বলা আছে, মানবতার কথা, শান্তির কথা, সৌহার্দ্যের কথা। ধর্মে হানাহানির কোনো স্থান নেই। তাই বর্তমান সরকার সব ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চায়।’

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বে জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। আর বর্তমানে বাংলাদেশের পরিচয় অসাম্প্রদায়িক ও শান্তির দেশ হিসেবে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে কোনো সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা ঘটছে না। শেখ হাসিনা চান, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি এগুলোর হাত থেকে মানুষ মুক্তি পাক। শান্তিতে বসবাস করুক।’

এসময় এসময় ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহমেদ, বোয়ালমারী পৌর মেয়র মোজাফ্ফার হোসেন বাবলু, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য শেখ শওকত হোসেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইনামুল হাসান, গোপালপুর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম ফজর, গোপালপুর ইউপি যুবলীগের সভাপতি খান আমিরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/জেডএ)