বাংলাদেশ বলাতে ওরা বলল ‘শেখ হাসিনা’

শেখ আদনান ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল মিডিয়া টিমের সদস্য হিসেবে কম করে হলেও ২০ টি বিদেশ ট্যুরে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে । নিজেদের প্রধানমন্ত্রীকে দেশে-বিদেশে কাছ থেকে দেখার, তাঁর কথা শোনে সংবাদ প্রতিবেদন ও ফিচার লিখে সাংবাদিকতা করার সুযোগ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাভারেজ দিতে গিয়ে বিদেশীদের সাথে নিজে থেকে কথা বলার সুযোগ বেশি পাওয়া যেত না সেসব ট্যুরে। কিন্তু এবার আমাদের চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। ২০১২ সাল থেকে আমি আর সাংবাদিকও নই। অথচ এই সফরেই যেন শেখ হাসিনাকে সবচেয়ে বেশি চেনা হল আমার।

চীনের বেইজিং আর সিয়ান শহরে বিশ্বের ৩৯টি দেশের প্রায় ৪০০ প্রতিনিধির যেন মেলা বসেছিল। চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির ইয়ুথ ফেডারেশনের আয়োজনে ২৩ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় এশিয়া-আফ্রিকা যুব সম্মেলনে। ৪০ বছরের নীচের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমরা গিয়েছিলাম ৭ জন। দলের নেতৃত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন-উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফা রহমান রুমা, ৭১ টিভির স্পেশাল করসপন্ডেন্ট মাহবুব স্মারক, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) এর অন্যতম সংগঠক, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের জনপ্রিয় যুব ব্যক্তিত্ব নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক পাভেল হায়দার চৌধুরী এবং গুলশানের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর শরীফ।

চীনা কম্যুনিস্ট পার্টি ও সরকার দ্বিতীয়বারের মত এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করল। ১৯৫৫ সালের বান্দুং সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য-‘পিস, সলিডারিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন’কে নতুন করে সামনে এনে ইতিহাসের সিল্ক রোডকে উপজীব্য করে এশিয়া-আফ্রিকাকে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ এর অন্তর্ভুক্ত করতে চায় চীন। বিশ্বকে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার করায়ত্তে যেতে দিতে চায় না চীন। তাই এত টাকা-পয়সা খরচ করে আমাদের নিয়ে যাওয়া।

রঙিন এই জনসমুদ্রে সবার সাথে কথা বলা, মত বিনিময় করার সুযোগ এবং ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব ছিল না। তবে অনেকের সাথেই কথা বলেছি, মজা করেছি, গান গেয়েছি, ছবি তুলেছি। কেউ কেউ আমাদের খুব আপন হয়ে গেছে। যাদের সাথে জীবনে দেখা হবে বলে ভাবিনি তারাই আমাদেরকে গান শুনিয়ে, নেচে, দারুণ দারুণ কথা বলে চমকে দিয়েছে। খুব টাইট শিডিউল ছিল। যখনই একটু সময় ম্যানেজ করা গেছে, একা হোক, দলে হোক হোটেলের লবিতে কিংবা প্রোগ্রাম ভেন্যুতে আড্ডার ছলে বিদেশীদের সাথে ব্যক্তিগত পরিচিতির পাশাপাশি তাদের এবং আমাদের নানা বার্তা বিনিময় হয়েছে।

২৩ তারিখ বিকেলে বেইজিং এর সিয়েদাও কনভেনশন ভিলেজে গিয়ে পৌছালাম। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিমান ছাড়তে ছাড়তে স্থানীয় সময় রাত দুইটা প্রায়। ঢাকা থেকে গোয়াংজু এবং সেখান থেকে বেইজিং। একেবারে ছোট সফর নয়। বিকেলে বেইজিং এর আবাসস্থলে পৌঁছে বুঝতে পারলাম, মূল শহর থেকে বেশ দূরে আমরা। আমরা একটা ডরমিটরিতে থাকব রাতটুকু। এক রাতের জন্য বেশ ভালো জায়গা। নামে ডরমিটরি হলেও আমাদের দেশের মত নয়। রুমে এসি আছে, সার্বক্ষণিক লিফট আছে, আছে দারুণ বাগান, লবি এবং আধুনিক ডাইনিং স্পেস। কথা ছিল চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলা বিভাগে কর্মরত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের ছোট ভাই-বন্ধু এনামুল টুটুলের বাসায় আলু ভর্তা, বেগুন ভাজা দিয়ে ভাত খাব।

কিন্তু রাত ৮ টায় অফিস শেষ করে টুটুলের পক্ষে দুই/তিন ঘণ্টা জার্নি করে এখানে এসে দেখা করা সম্ভব নয়। এত দূর থেকে শহরে গিয়ে দেখা করা আমাদের পক্ষেও সম্ভব নয়। ভাষাগত সমস্যার জন্য চরম অনিশ্চয়তার অনুভূতি কাজ করে চীনে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল মিডিয়া টিমের সদস্য হয়ে প্রথম বেইজিং গিয়েছিলাম। সাত বছরে একটি জায়গায় চীনের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মনে হল। চাইনিজরা পৃথিবী ‘দখল’ করে ফেললেও ইংরেজিতে একেবারে কাঁচা। এমনকি ওকে, ইয়েস, নট, ভেরি গুড পর্যন্ত বুঝে না সাধারণ চীনারা। ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব বন্ধ। বেইজিং তাই আমাদের কাছে সুন্দর হলেও অনিশ্চিত এক শহর। ফলে রাতের বেইজিং এ বের হওয়ার সাহস করলাম না।

রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হতে হতে লাঞ্চ টাইম শেষ। বিকেল হয়ে গেছে। ততক্ষণে বেইজিং এর আকাশ মেঘ এবং কুয়াশার দখলে চলে গেছে। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা। নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভাই হোটেল লবির পাশের ফলের দোকান থেকে কিছু ফলমূল কিনলেন। তাই খেয়ে বের হলাম সিয়েদাও কনভেনশন ভিলেজ দেখতে। টুটুল আর আমার মন খারাপ। ‘উইচ্যাট’ এ কথা বলে কনফার্ম হলাম, আমাদের দেখা হচ্ছে না। কিন্তু কী আর করা! ভিলেজ দেখতে বের হলাম। বাচ্চাদের জন্য বিশাল পার্ক, বড় বড় পুকুর, আধুনিক মার্কেট, বিশাল বিশাল সম্মেলন কক্ষ, ইনডোর-আউটডোর খেলাধুলার ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা এখানে আছে। বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের ছিপ দিয়ে মাছ ধরা শেখাচ্ছে। বৃদ্ধরা সাইকেল চালাচ্ছেন। অত্যাধুনিক গাড়িগুলো ইলেকট্রিক চার্জার থেকে চলার শক্তি নিচ্ছে। পরিচিত-অপরিচিত গাছ-গাছালী, সুন্দর পরিষ্কার রাস্তা, আধুনিক পোশাক পড়া চীনা ছেলে-মেয়ে, সম্পূর্ণ বেগানা চীনা ভাষায় চাইনিজদের কথাবার্তা সব মিলে বহুদিন পর বিদেশে এসে ভালো লাগছিল।

সম্মেলনে আসা একটি দলের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। চেহারা-সুরুতে মনে হল মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছে। জোরে বললাম ‘আসসালামু আলাইকুম’। ‘ওলাইকুম সালাম’ বলে জবাব দিয়ে দলের সামনে থাকা একজন সোজা তাকালেন আমাদের আইডি কার্ডের দিকে। চীনা এবং ইংরেজি ভাষায় সেখানে লেখা আছে ‘বাংলাদেশ’। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি নিয়ে একজন এগিয়ে এসে পরিচয় দিলেন হামেদ ইসলাম বলে। হাত বাড়িয়ে দিলেন আমাদের দিকে। আইডি কার্ড ধরে হাসি দিয়ে বললেন ‘তোমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা অনেক ভালোবাসি’।

মিশর থেকে এসেছেন এরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মিশর গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে, ন্যাম সামিট কাভার করতে। মিশরের এক ভাইয়ের মুখে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা শুনে এত ভালো লাগলো যে, বলে বোঝানো যাবে না। সেখানে দাঁড়িয়েই এক/দু মিনিট কথা বললাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কী জানো তোমরা? মিশরের হামেদ সংক্ষেপে যা বললেন তার বাংলা করলে এরকম শোনাবে-‘এমন মানবিক রাষ্ট্রনায়ক এখন আর দেখা যায় না এখন। রোহিঙ্গাদের জন্য উনি যা করছেন তাতে আমাদের প্রিয় হয়ে গেছেন তিনি’। এই হামেদ ইসলামের সাথে আরও অনেক বার আমার দেখা হয়েছে। আমি জোরে জোরে তাঁকে সালাম দিয়েছি। যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করবে, তাঁকে শ্রদ্ধা করা কর্তব্য বলে মনে করলাম।

চীনারা সন্ধ্যা ৬/৭ টার মধ্যে ডিনার শেষ করে ফেলে। ডিনার মিস করলে না খেয়ে থাকতে হবে সারারাত। তাই ঘরে ফেরার তাড়া অনুভব করলাম। আবার দেশে ফোন দিতে হবে। যোগাযোগ বলতে কেবল ‘উইচ্যাট’। উইচ্যাট চীনের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া। তাও ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে শুধু হোটেলের রিসিপশনের আশেপাশেই। লবির বাইরে গেলেই আর পাওয়া যাচ্ছে না। কোনোমতে দেশে বউ-বাচ্চার সাথে কথা বলে ডিনারের খোঁজ। ডিনারে খাবারের শেষ নেই, কিন্তু একজন বাঙালির জিহ্বায় মজা লাগবে, এমন খাবার খুব কম। কোনোমতে পেটে কিছু দিয়ে সাংবাদিক পাভেল হায়দার আর আমি আবার হোটেলের বাইরে এসে দাঁড়ালাম। একজনের সাথে তখন কথা হল। চেহারায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা ইরানের বলে মনে হল।

পরিচয় পেলাম, পাকিস্তানের কায়দে আযম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালমান। পাকিস্তানী পেলে আমি আগে ঘৃণাভরে এড়িয়ে চলতাম। এখন কৌশল বদলেছি। পাকিস্তানীদের সাথে কথা বলে তাদের চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে। দেখতে-শুনতে খুবই স্মার্ট সালমানের সাথে কুশলাদি বিনিময় করে সিরিয়াস কিছু কথাবার্তায় গেলাম। সাউথ এশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা উঠল। আমাকে অবাক করে দিয়ে সালমান খুব বস্তুনিষ্ঠভাবে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করল। বলল, তোমাদের জাতির পিতার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। স্বাধীনতা ঘোষণা করে তিনি সঠিক কাজ করেছিলেন। পাকিস্তানে শুধু পাঞ্জাবিরা ভালো থাকে। আজ দেখ, পাকিস্তান তো বটেই, ভারত থেকেও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে! মনে মনে বললাম, পাকিস্তানী হয়ে তুমি স্বাধীনতার দাম বুঝ, আমাদের জাতির পিতাকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পার, আর আমাদের দেশেই কত কুলাঙ্গার আছে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রকৃত কদর করতে এখনো শেখে নাই।

সালমান খুব মজা করে কথা বলে। সে বলল- আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর ক্রিকেট তার খুব পছন্দের। পাকিস্তানের ট্রাইব এরিয়া খাইবার পাখতুনখার সালমানের সাথে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা হল। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সরকার আর সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ মনে হলে সালমানকে। জানাল, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ চায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে, কিন্তু ক্ষমতার খেলায় সরকার এবং সেনাবাহিনী মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। ‘এখানেই ব্যতিক্রম তোমাদের প্রধানমন্ত্রী। উনি মানবিকতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন’।

সালমান কিংবা হামেদ শুধু নয়, আমাদের প্রতিনিধি দলের আরও কয়েকজনের কাছে অন্য অনেক দেশের মানুষ শেখ হাসিনা নিয়ে তাদের উচ্চ ধারনা প্রকাশ করেছেন। করাটাই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ মিডিয়া মাদার অব হিউম্যানিটি বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শেখ হাসিনা এর আগে বহুবার ভাষণ দিয়েছেন। আমি নিজেই দুইবার শেখ হাসিনার সাধারণ অধিবেশনের ভাষণ কাভার করেছি। শেখ হাসিনা এবার যেভাবে অধিবেশনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিলেন, এর আগে কখনোই এমনটা হয়নি। ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন শেখ হাসিনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর বিষয়ে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যিনি শরণার্থীর কষ্ট বুঝেন না, তার কাছে আমি কী সাহায্য চাইব!’। বিশ্বের সবাই যখন, নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে চুপচাপ থাকছে, কিংবা গণহত্যাকারীদের সাথে হাত মেলাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনা বলেছেন,’দরকার হলে রোহিঙ্গাদের সাথে খাবার ভাগ করে খাব!’। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার শক্তিশালী ভূমিকা অব্যাহত থাকলে, রোহিঙ্গারা নিজভূমে ফিরে যেতে পারবে বলে একটা বিশ্বাস তৈরি হচ্ছে মানুষের মনে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব জনমত তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শেখ হাসিনা গত ৮ বছরে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন। ৭১ বছরে পা দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ১৯/২০ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে দেশি-বিদেশী শত্রুরা। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী দারুণ ফিট আছেন এখনো। শেখ হাসিনাকে ফিট থাকতেই হবে। জাতির পিতা বাংলাদেশ নির্মাণের কাজকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে সফল হতে শেখ হাসিনা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নেই।

চারপাশে ষড়যন্ত্র চলছে। এক ভারতীয় সাংবাদিক এবং তার এদেশীয় অনুসারীদের সন্দেহজনক সাংবাদিকতা জাতি লক্ষ্য করল কদিন আগে। দেশের মানুষের মন ভেঙ্গে দিয়ে, মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা হতে পারে। যে কেউ এই ষড়যন্ত্র করতে পারে। মিয়ানমার ইস্যুতে আইএসআই এর হাত আছে বলে দেশের সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। লন্ডনে খালেদা জিয়ার সন্দেহজনক তৎপরতা নিয়েও খবর বেরিয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা চাই। আমরা চাই শেখ হাসিনা সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন বেঁচে বাংলাদেশকে সেবা দিন। একটি উন্নত স্থিতিশীল বাংলাদেশ অনেক দেশেরই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই এরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। জন্মদিনে তাই প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেও তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিও জানাচ্ছি। সবাইকে শুধু বাংলাদেশের দালাল হয়ে সচেতন থেকে কাজ করার অনুরোধ করছি।

লেখকঃ শিক্ষক, সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :