নিখোঁজের ১১ দিন পর সোনাগাজীর তিন তরুণী উদ্ধার

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:১৩

অপহরণ নয়, অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে ছিল সোনাগাজী উপজেলার তিন তরুণী। শুক্রবার বিকালে পুলিশকে এমন তথ্য জানালো রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া তরুণীরা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর দিনের বিভিন্ন সময় সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর ও মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রাম থেকে স্থানীয় বিদ্যালয়ের তিন তরুণী নিখোঁজের পর রাতে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।

এদিকে দীর্ঘ ১১ দিন পর শুক্রবার সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের প্রেমিকদেরকেও আটক করে পুলিশ।

এর আগে গত বুধবার রাতে অপর তরুণী বিবাহ শেষে তার প্রেমিককে নিয়ে থানায় হাজির হয়।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়া মোর্শেদা আক্তার শিখা ও নাজমা আক্তার নামে ওই দুই তরুণী জানায়, ‘তারা দু’জন বান্ধবী। গত বছর এসএসসিতে ফেল করে লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত শিখা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে নাজমা জামশেদ আলমের সঙ্গে এবং রাবেয়া আক্তার চম্পা মো. ইয়াছিনের সঙ্গে প্রেম করত। তাদেরকে কেউ অপহরণ করেনি। স্বেচ্ছায় তারা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে ছিল।’

তারা জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় কোন উপায় না পেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। পালানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে শিখা ও নাজমা প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে তারা বিয়ে করে।

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনা তিনটিই প্রেম সম্পর্কিত। উদ্ধার হওয়া তিন তরুণী পরিবারের লোকজন তাদের প্রেমের বিষয়ে জেনেও তারা থানায় অযথা অপহরণের নাটক সাজিয়ে অভিযোগ করেছে। ওই ছাত্রীদেরকে কেউ অপহরণ করেনি। তারা নিজেরা ইচ্ছা করে প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রেমিকের সাথে পালানোর ঘটনাকে অপহরণের রূপ দিয়ে থানায় অভিযোগ করায় ফেঁসে যেতে পারেন তরুণীর অভিভাবকরা।

তবে এ বিষয়ে ছাত্রীদের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, তিন তরুনীর মধ্যে নাজমা আক্তার ও রাবেয়া আক্তার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করলেও মোর্শেদা আক্তার শিখার মা রাশেদা বেগম বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ওই তরুণীরা কোন বিদ্যালয়ে পড়ে না। তারপরও অভিযোগপত্রে তাদের স্থানীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে উল্লেখ করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রী নিখোঁজের বিষয়টি তারা প্রথম থেকে রহস্যজনক হিসেবে নিয়েছেন। ঘটনাগুলো সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, ছাত্রীরা স্ব-ইচ্ছায় প্রেমের টানে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। তরুণীদের পরিবার বিষয়টি জেনেও অযথা মিথ্যা অপহরণের নাটক সাজিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :