শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৪৮

অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী বাজারসহ পাঁচটি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ঝিনাইগাতী সদর, নলকুড়া, ধানশাইল, হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা। এসব এলাকার আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ঢলের পানিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ঝিনাইগাতী বাজারে অবস্থিত ডাকঘর, সাবরেজিস্ট্রার, নলকুড়া ভূমি কার্যালয় ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের চারপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাত থেকে ঝিনাইগাতিতে টানা বর্ষণ শুরু হয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সেই সঙ্গে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবল বেগে মহারশি নদীর রামেরকুড়া এলাকার বেড়িবাঁধের পুরোনো ভাঙা অংশ দিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে প্রবেশ করে। এছাড়া সোমেশ্বরী ও কালঘেঁষা পানি উপচে উপজেলার সুরিহারা, বনগাঁও, চতল, বাগেরভিটা, আয়নাপুর, ফাকরাবাদ, দড়িকালিনগর, সারিকালিনগর, পাগলারমুখ, বগাডুবি, বালিয়াডাঙ্গি, গান্ধিগাঁওসহ ৩০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা মনে করেন, মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে এবারের এই ক্ষতি, তা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় আছে। এ বাঁধ সংস্কারে আগাম ব্যবস্থা নিলে এই ক্ষতি রোধ করা যেত। এ বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিয়ন্ত্রণ করে।

জামালপুরের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী বলেন, বেড়িবাঁধ সংস্কারে ৩২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে বাঁধটি সংস্কারের কথা জানান তিনি।

ঝিনাইগাতীর সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এ কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী চার পাঁচ দিন আমন ধান পানির নিচে থাকলেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানান।

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের সুরিহারা গ্রামের কৃষক আজগর আলী বলেন, তার ছয় বিঘা জমির আমন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি সরে গেলে বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।

দড়িকালিনগর গ্রামের কৃষক রতন মিয়া বলেন, তার চার বিঘা জমির আমন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

উপজেলার বালিয়াগাঁও দাড়িয়ারপাড় গ্রামের একাধিক কৃষক তাদের ফসলহানির কথা জানান।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলেন, আমন ধান তাদের প্রধান ফসল। এ ফসল দিয়েই তাদের সংসার চলে। ঢলের পানিতে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন কীভাবে সংসার চলবে, এ নিয়ে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, আকস্মিক এ ঢলে ঝিনাইগাতী বাজারের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এলাকাবাসীর মধ্যে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি নেমে আসে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা করিম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। পানি নিম্নাঞ্চলে নামছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :