গজারিয়ায় হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের পৈক্ষারপাড় এলাকায় পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক মাহবুব আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে শুক্রবার ভোরে মারা যান।
গজারিয়া থানার এসআই ও সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকতা মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, এ ঘটনায় ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটনসহ তার দশ অনুসারীর নামে মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে পৈক্ষারপাড় গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মাহবুব আলমকে ঝুইতার ফলাবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তির পর শুক্রবার ভোরে ঢাকার ক্রিসেন্ট হসপিটালে তিনি মারা যান।
বুধবার রাতে আহত মাহবুব আলমের ভাবী রুজিনা বেগম ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তার অনুসারী পৈক্ষারপাড় গ্রামের দশ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত তিন থেকে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গজারিয়া থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসামি নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আইন অনুযায়ী মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে স্থানীয় ভবেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনয়িার সাহিদ মো. লিটন ও ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোমিনুর রহমান মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
পুলিশ জানায়, মে মাসে ৪নং ওয়ার্ডের সদস্যের অনুসারীরা চেয়ারম্যানের কয়েকজন অনুসারীকে পিটিয়ে আহত করলে থানায় মামলা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, মামলার বিবাদীরা জামিনে এসে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে চেয়ারম্যান অনুসারী রুহুল আমিন সরকার, মো. বিল্লালসহ কয়েকজন ওয়ার্ড সদস্যের অনুসারী সিদ্দিকুর রহমান সরকারের ছেলে মাহবুব আলমকে ঝ্ইুতার একাধিক ফলাবিদ্ধ করে ও কুপিয়ে আহত করে।
মামলার আসামি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভবেরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহিদ লিটন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমাকে বিবাদী করা হয়েছে। আমি সংঘর্ষের বিষয়টি পরে জেনেছি।
(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)