আমেরিকার ভয়াবহ ১১ বন্দুক হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
| আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৫ | প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ১০:১৭

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের বিলাসবহুল শহর লাস ভেগাসে স্থানীয় সময় রবিবার রাতে একটি কনসার্টে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি অন্যতম সন্ত্রাসী হামলা।

গত পঁচিশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের অন্তত ১১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এতে নিহত হয় ২৬৫ জন। আহত হয় কয়েক শ জন। বেশির ভাগ ঘটনায় হামলাকারী আত্মহত্যা করে। চলুন বাকি ঘটনাগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।

অরল্যান্ডোর সমকামী ক্লাবে ৪৯

গত বছর ১২ জুন ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে সমকামীদের একটি নৈশক্লাবে গুলি চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করে এক যুবক। এত দিন পর্যন্ত সেটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে গুলি করে হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনা। পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারী নিহত হয়।

ভার্জিনিয়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩২

২০০৭ সালে ব্ল্যাকসবার্গে ভার্জিনিয়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে তখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার ঘটনা। সেবার কোরীয় বংশোদ্ভূত ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্র গুলি করে ২৭ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষককে হত্যা করেন৷ পরে তিনিও আত্মহত্যা করেন৷

স্যান বার্নাডিনোর ক্রিসমাস পার্টিতে ১৪

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নববিবাহিত এক মুসলিম দম্পতি স্যান বার্নাডিনোর একটি অফিসের ক্রিসমাস পার্টিতে গিয়ে গুলি ছুড়তে থাকলে ১৪ জন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় আরও ২২ জন৷ পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ওই দম্পতি৷

ওয়াশিংটনের নৌ সদরদপ্তরে

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন নৌবাহিনীর সদরদপ্তরে ঢুকে সাবেক এক কর্মী এলোপাথাড়ি গুলি চালায়৷ এতে নিহত হয় ১২ জন৷ পরে সেখানকার কর্মকর্তাদের গুলিতে নিহত হন তিনি৷

কানেকটিকাটের স্কুলে

২০১২ সালের ডিসেম্বরে কানেকটিকাটের নিউটাউনে এক স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে গুলি চালিয়ে ২০ জন শিশুশিক্ষার্থী এবং ৬ জন শিক্ষককে হত্যা করে৷ মানসিক ভারসাম্যহীন ২০ বছরের তরুণটি পরে মাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে৷ এরপর আত্মহত্যা করেন তিনি।

অরোরার সিনেমা হলে

২০১২ সালের জুলাইতে গভীর রাতে অরোরার এক সিনেমা হলে ‘ব্যাটম্যান’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার চলাকালে সেখানে এক তরুণ এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷ ঘটনাস্থলে মারা যায় ১২ জন৷ আহত হয় ৭০ জন৷ ওই তরুণ এখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে৷

কিলিন সেনাঘাঁটিতে

২০০৯ সালের নভেম্বরে কিলিনের সেনাঘাঁটিতে এক মার্কিন সেনা গুলি করে ১৩ জনকে হত্যা করে৷ গুলিবিদ্ধ হয় আরও ৪২ জন৷ পরে পুলিশ তাকে আটক করে৷

বিংহ্যামটনের সমাজ কেন্দ্রে

২০০৯ সালের নিউইয়র্কের বিংহ্যামটনে ২০০৯ সালের এপ্রিলে একটি সামাজিক কেন্দ্রে ঢুকে গুলি চালায় ভিয়েতনামের এক অভিবাসী৷ এতে নিহত হয় ১৩ জন। পরে আত্মহত্যা করে বন্দুকধারী।

কলোরাডোর হাইস্কুলে

১৯৯৯ সালের এপ্রিলে কলোরাডোর লিটলটন শহরের কলম্বাইন হাই স্কুলে দুই কিশোর শিক্ষার্থী গুলি চালিযে ১২ সহপাঠী ও এক শিক্ষককে হত্যা করে৷ পরে আত্মহত্যা করে দুই কিশোর৷

কিলিনের রেস্তোরাঁয়

১৯৯১ সালের অক্টোবরে কিলিনে একটি রেস্তোরাঁয় গুলি চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে এক ব্যক্তি। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন৷

ঢাকাটাইমস/৩অক্টোবর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু কেন?

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী 

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: সিরিয়া কি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হবে?

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবে জ্যামাইকা

পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

বিরল সফরে ইরানে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :