ভৈরবে কনস্টেবল হত্যায় দুই মামলা

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:১০

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় ভৈরব থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা অপরটি ছিনতাইয়ের মামলা।

মঙ্গলবার ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক মুতিউজ্জামান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছিনতাইয়ের মামলাটি করেছেন ঘটনার রাতে ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত পথচারী, এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম মিয়া।

দায়ের করা মামলা দুটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক মো. ওসমান গনিকে।

দায়েরকৃত মামলা দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমান গনি জানান, দুটি মামলারই বেশ অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে অপরাধী শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিক তদন্তের স্বার্থে আপাতত নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে সংবাদকর্মীদের কাছে তথ্য তুলে ধরা হবে।

গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আরিফুর রহমান (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। তিনি ময়মনসিংহ শহরের খাগডহর এলাকার মরহুম ফজলুল হক করিমের ছেলে। আরিফুর ভৈরব রেলওয়ে সেতুর পাহারায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য হিসেবে ব্রিজ সংলগ্ন ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম মিয়া। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার রাখনগাঁও গ্রামের মহসীন মিয়ার ছেলে।

ঘটনার পর থেকে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালায়। ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করলেও অভিযানের স্বার্থে তাদের নাম-ঠিকানা জানাতে অপারগতা জানায় পুলিশ প্রশাসন।

পুলিশ হত্যার ঘটনা শুনে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ রকিব খান, এএসপি সার্কেল মো. কামরুল ইসলাম ভৈরব থানা পরির্দশন করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম পায়ে হেঁটে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তিনি বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে পুলিশ কনস্টেবল আরিফ এগিয়ে এলে তাকেও ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত পালিয়ে যায়। পরে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে পুলিশ কনস্টেবল আরিফকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ডালিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :