ফেনীতে জামায়াত-শিবিরের ৯ নেতাকর্মী আটক

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:৪৪

ফেনী শহরের নাজির রোডে আনোয়ার উল্যাহ সড়কস্থ আব্দুর রহিমের বাড়ি থেকে নাশকতা কার্যকালাপে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তাদের হামলায় দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়।

বুধবার বিকালে বিস্ফোরণ মামলায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাজির রোডে আনোয়ার উল্যাহ সড়কস্থ আব্দুর রহিমের বাড়ি কাশেম ম্যানশন নিচতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় কয়েকজন ছাত্র। ওই ফ্ল্যাটে কতিপয় ছাত্র নাশকতা কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য একত্রিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক রমিজ উদ্দিন ও নজরুল ইসলামসহ পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল ঘেরাও করে ফেলেন। এসময় ভেতরে থাকা লোকজন পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে ককটেল বিস্ফোরণের আঘাতে কনেস্টবল স্বপন মিয়া ও আবুল খায়ের আহত হয়।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নয়জনকে আটক করে ও তিনটি ককটেল, ৭টি জিহাদি বই উদ্ধার করে।

আটকৃতরা হলো- কক্সবাজারের মহেশখালী থানার কালামারছড়া গ্রামের দেলোয়ারে হোসেনের ছেলে রাফসানুল ইসলাম (২৪), চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের জামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আল-মারুফ (২১), ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের জগইডগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আব্দুল মতিন (২৩), বালিগাঁও ইউনিয়নের চরহুজুরী গ্রামের কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে মো. ঈসমাইল হোসেন (১৭), নোয়াখালীর জেলার সেনবাগের বিন্নাগুনি গ্রামের মো. ইলিয়াস মিয়ার ছেলে মো: মেহেদী হাসান (২১), পরশুরামের মির্জানগর মাস্টার বাড়ির আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল আহাদ (২০), জোরারগঞ্জ থানার ধুম ইউনিয়নের উত্তর ধুম গ্রামের শহীদুলের আলমের ছেলে মো: ইমাম হোসাইন (১৮), দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে আবু মুসা (২১), ছাগলনাইয়া উপজেলার মাটিয়া গোদা গ্রামের মাওলানা মহিবুল্ল্যাহ ছেলে মো. নোমান (৩১)।

তবে গিয়াস উদ্দিন নাঈম ও কপিল উদ্দিন নামে দুজন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। গত মঙ্গলবার দুপুরের তাদেরকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এসআই মো. নজরুল ইসলাম জানান, আটককৃতরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।

সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে একত্রিত হয়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। নাশকতা করতে রাফসানুল হক মহেশখালী থেকে ফেনীতে আসে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো অনেকগুলো তথ্য প্রকাশ করে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

আহত দুই কনস্টেবলকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. রাশেদ খান চৌধুরী নয়জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এসআই রমিজউদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২০/২৫ জনের অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুই পুলিশ কনেস্টবল আহত হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/প্রতিনিধি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :