নাটোরে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি: স্কুল সুপার আটক

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৫

ভুয়া সনদ এবং জালিয়াতি করে ছয়জন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে আলহাজ জালাল উদ্দিন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুপার নজরুল ইসলামকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক নজরুল ইসলাম উপজেলার থাওইল গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিংড়ার আলহাজ জালাল উদ্দিন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শূন্য পদে ছয় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি, স্কিলস এবং ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক জয়দেব সাহাসহ নিয়োগ বোর্ডের অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতিতে স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া সনদ এবং জালিয়াতি করে ২০১১ সালের ৩ মার্চ থেকে ওই স্কুলের সিভিল কন্সট্রাকশনের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর রবিউল করিমসহ ছয় শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়। এতে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ছয় শিক্ষক মোট ৪২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।

পরে দুদকের অনুসন্ধানে তথ্য বেরিয়ে আসলে বৃহস্পতিবার সকালে আলহাজ জালাল উদ্দিন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযান চালান দুদক কর্মকর্তারা। পরে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সুপার নজরুল ইসলামকে উপজেলা চত্বর থেকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ, এএসআই গোলাম মোস্তফা।

মামলার সূত্র জানায়, দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভুয়া সনদ এবং জালিয়াতি করে শিক্ষক ও সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তৎকালীন সিংড়া, বর্তমানে নওগাঁর পোরশা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মুসহাক আলী, বগুড়া টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ আহাম্মদ হোসেন, আলহাজ জালাল উদ্দিন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুপার নজরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হানিফুজ্জামান এবং সিভিল কন্সট্রাকশনের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর রবিউল করিমের নামে একটি মামলা করেন।

দুদক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভুয়া নিয়োগপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ শিক্ষকের নামে আলাদা আলাদা মামলা করা হবে।

প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য ফেরদৌসী বেগম ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাহবুবুর রহমান জানান, নজরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার পর থেকে কোন অর্থনৈতিক হিসাব দেননি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ভুয়া নিবন্ধন ও ভুয়া সনদধারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সুপার। এছাড়াও নাটোর আদালতে আটক সুপারের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের আরো একটি মামলা চলমান রয়েছেন বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :