দুই শিশু ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৭

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আড়াই বছরের শিশু আয়শা সিদ্দিকার লাশ পুলিশ খেওয়ারচর এলাকার জিঞ্জিরাম নদী থেকে উদ্ধার করলেও সাত মাস বয়সী শিশু হাসিবুল হাসানের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ রয়েছে, সোমবার রাত ১০টার দিকে রৌমারী উপজেলার পাঠাধোয়ারপাড় গ্রামে এক সালিশ বৈঠকের পর পরকীয়া প্রেমিক ফরহাদ হোসেনকে বেদম মারপিট করে। এসময় প্রবাসীর স্ত্রী শিরিন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেয় পরকীয়া প্রেমিকের পিতা হাশেম আলী। পরে সেই রাতে শিরিন আক্তার তার শিশু বাচ্চা দুইটিকে নিয়ে বাপের বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়। এসময় শিরিন আক্তার পাঠাধোয়ারপাড় জিঞ্জিরাম নদী পাড়ে পৌঁছালে রাতের অন্ধকারে কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে শিশু বাচ্চা দুটিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। শিরিন আক্তার চিৎকার করতে থাকলে তাকে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। শিরিন আক্তার কোন রকমে নদী সাঁতরে বেঁচে গেলেও গত তিন দিন ধরে শিশু দুটি নিখোঁজ ছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জিঞ্জিরাম নদী থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রবাসী আব্দুর রহমানের স্ত্রী শিরিন আক্তার, পরকীয়া প্রেমিক ফরহাদ হোসেন ও তার পিতা হাশেম আলী ও গ্রামের মাতাব্বর ওমেদ আলীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত নয় বছর আগে রৌমারী উপজেলার পাঠাধোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের সাথে রাজিবপুর উপজেলার শিবেরডাঙ্গি গ্রামের শিরিন আক্তারের বিয়ে হয়। সাংসারিক নানা অভাব-অনটনের কারণে গত দেড় বছর আগে আব্দুর রহমান রোজগারের জন্য ওমানে চলে যায়।

এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী শিরিন আক্তার জানান, পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় আমি ক্ষোভে রাতেই আমার শিশু বাচ্চা দুটিকে নিয়ে বাপের বাড়ির দিকে রওয়ানা দেই। কিছুদূর যেতেই রাতের অন্ধকারে কাপড় দিয়ে আমার চোখ-মুখ বেঁধে কোলের বাচ্চা দুটোকে কেড়ে নেয়। এসময় চিৎকার করতে থাকলে আমাকে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দেয়। এরপর আমি কোন রকমে নদী সাঁতরে বেঁচে যাই। কিন্তু আমার বাচ্চা দুটির কোন খোঁজ পাই নাই।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি বাচ্চার লাশ পাওয়া গেছে। অন্য বাচ্চাটিকে খোঁজা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত চলছে। এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে মূল আসামিদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :