পুলিশ কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৪৯

নড়াইল সদর উপজেলার চাকই গ্রামে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বিছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল এবং বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী চাকই গ্রামের স্বর্ণালী খানম রবিবার দুপুরে সদর আমলি আদালতে এ মামলা করে।

সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চাকই গ্রামের মামুন শেখ, জুয়েল শেখ, এরশাদ বিশ্বাস, মাজেদ শেখ, লাবলু শেখ ও মনিরুল মল্লিক। এছাড়া অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণসহ স্বর্ণালী খানম জানায়, গত ১ অক্টোবর দুপুরে নড়াইলের সীমান্তবর্তী যশোরের অভয়নগর উপজেলার নিমতলা এলাকায় মির্জাপুর গ্রামের জুয়েল শেখকে দুর্বৃত্তরা মারধর করে। জুয়েল নড়াইলের বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলামের সমর্থক। জুয়েলকে মারধরের ঘটনায় ওইদিন (১ অক্টোবর) বিকালে বিছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুলসহ কয়েকজন পুলিশ এসে অতর্কিতভাবে স্বর্ণালীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পুলিশ ঘরের চেয়ার, বাক্স, ফ্যান, হাড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তাদের বাড়ির একটিসহ আশেপাশের তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি রান্নাঘরের চুলা ও চালের পাতিল ভেঙে ফেলেছে। এমনকি বাক্স ভেঙে ৫০ হাজার টাকাও নিয়ে যায় পুলিশ।

স্বর্ণালীর বাবা ইদ্রিস শেখকেও গুলি করে হত্যার হুমকি দেয় পুলিশ। বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানসহ অন্য আসামিদের নির্দেশে পুলিশ স্বর্ণালীদের বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ইদ্রিস শেখের স্ত্রী শাহিনা বেগম বলেন, ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ এসে আমাদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে।

চাকই গ্রামের হেমায়েত বিশ্বাসের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, পুলিশ এসে আমাদের চেয়ার, শো-কেসসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এছাড়া অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়-ভীতি দেখায়। এলাকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিয়ে পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় আমরা হতবাক!

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ রিয়াজ আলী দাবি করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে না থাকায় গত ১ অক্টোবর চাকই গ্রামের তিনটি বাড়িতে পুলিশ দিয়ে হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবত উত্তেজনা চলছে। আমি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তবে, ওইদিন (১ অক্টোবর) বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

বিছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল বলেন, একটি মহল পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর আমার বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুরের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :