পর্তুগিজের মারিয়াকে বাংলাদেশ কমিউনিটির সংবর্ধনা

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:১০

বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে পর্তুগালের বর্ষসেরা জি কিউ অ্যাওয়ার্ড জয়ী নারী মারিয়া কনসেইসাওর সম্মানে ও বাংলাদেশের পথশিশুদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর ‘পর্তুগাল-বাংলাদেশ সলিডারিটি ডিনার’ শিরোনামে ফান্ড রাইজিং নৈশ ভোজ হয়েছে।

শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় পোর্তোর জাপানিজ সুসি টাপেন ইয়াকি রেস্টুরেন্টে ইভেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন পোর্তোর স্থানীয় (জইন্তা ফগ্রেসিয়া) সিটি কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট এন্তোনিও ফনসেকা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পথশিশুদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন (সাবেক ঢাকা ফাউন্ডেশন)-এর প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের পথশিশুদের মা মারিয়া কনসেইসাও।

বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর সভাপতি শাহ আলম কাজলের পরিচালনায় ফান্ড রাইজিং ইভেন্টের সূচনা হয়। পোর্তো শহরের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আ. আলিম ফাউন্ডেশনের বাচ্চাদের সহায়তায় ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া কনসেইসাও-এর হাতে এক হাজার ইউরোর চেক প্রদান করেন। এছাড়াও পোর্তোয় বসবাসরত সকল বাংলাদেশি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

লিসবনের সিন্ট্রা শহরে জন্ম হলেও এই নারী হৃদয়ে ধারণ করে আছেন বাংলাদেশ। জুলাই ২০০৫ সালে মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে ঢাকার দক্ষিণখানের গাওয়াইরে একটি স্কুল ও ক্লিনিক দিয়ে ‘ঢাকা প্রজেক্ট’ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশনের সূচনা। বর্তমানে ঢাকার বস্তির ১৭২ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে ফাউন্ডেশনটি। এ পর্যন্ত ৬টি গিনেসবুক রেকর্ডস নিজের দখলে নিয়েছেন মারিয়া। এছাড়াও ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৭৭৭টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এর মূলে রয়েছে বাংলাদেশের পথশিশুদের খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার জন্য অর্থের জোগান নিশ্চিত করা।

ফান্ড রাইজিং ডিনারের মাধ্যমে অর্থের যোগান দিতে এমন একটি আয়োজন করায় বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মারিয়া কনসেইসাও। তিনি বলেন, পর্তুগালে বাংলাদেশের কমিউনিটির সঙ্গে এক হতে পারলে আমার ভালো লাগে। আমি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করছি, এদেশের মানুষেরা অন্য সবার মত না। এরা মানুষকে সহজে আপন করে নেয়, সব সময় সবকিছু উজার করে ভালোবাসে। আমি পর্তুগালের মেয়ে হলেও অামার সব অর্জনে পর্তুগালের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও তুলে ধরেছি। যেকোনো প্রতিযোগিতায় আমি দুটো পতাকা নিয়ে যাই। একটি পর্তুগালের অন্যটি বাংলাদেশের। সুযোগ পেলে আমি বাংলাদেশে নিজের দ্বৈত নাগরিকত্ব পাবার চেষ্টা করব।

এছাড়াও সলিডারিটি ডিনারে উপস্থিত ছিলেন- পোর্তো বাংলাদেশ কমিউনিটির মামুন হাজরি, মোশারফ হোসেন কিরণ, আব্দুল আলিম, তাজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, মো. আজাদ, মো. বিল্লাল, আহমেদ মুর্শিদ, ইকবাল হোসেন, আবুল কাসেম অপু, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/আরএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :