যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এ মামলা রেকর্ড করা হয়।
আজ রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
এদিকে ছাত্রলীগ যবিপ্রবি শাখার সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস শনিবার ওই সাতজন ছাড়াও বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহবুব হাসান ম্যানেসল, শিশির ঘোষসহ মোট ২২ জনের নামে লিখিত দিয়েছিলেন। কিন্তু এটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়নি বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসান বহিরাগতদের নিয়ে শহীদ মশিউর রহমান হলে হামলা ও লুটপাট করেন। এতে ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাসসহ ২৮ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় শামীম হাসানসহ ৭ জনের নামে শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম শামীম হাসান, একই বিভাগের ছাত্র ও শহীদ মশিউর রহমান হল শাখার সভাপতি বিপ্লব কুমার দে শান্ত, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর ফয়সাল, শারীরিক শিক্ষক ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্র্থী আল মামুন সিমন ও মাসুদুর রহমান রনি এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ তানিন ও আশিক খন্দকার।
এর আগে শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এই ৭ ছাত্রকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।
অভিযোগে বলা হয়, সন্ত্রাসীরা ছাত্রাবাস থেকে ১২০-১৩০টি ল্যাপটপ এবং সাড়ে তিনশটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি করে, ৩০-৪০টি হাতবোমা নিক্ষেপ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। অবশ্য শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীম হাসান প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এজন্য ছাত্রলীগ সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস দায়ী। তারা ক্যাম্পাসে গেলে সুব্রত লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
(ঢাকাটাইমস/০৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/ইএস)