নানা সমস্যায় বুড়িমারী স্থলবন্দর

এস কে সাহেদ, লালমনিরহাট
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৫০

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরটির নানা সমস্যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। দ্রুত সমস্যা সমাধান হলে বন্দরে রাজস্ব আয় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১৯৮৯ সালে শুল্ক স্টেশন হিসেবে মাত্র ১৮ একর জায়গা নিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর চালু হয়। কালের পরিক্রমায় বন্দরের ব্যবসা বাণিজ্যের পরিধি বেড়েছে। এতে করে বন্দরে কমপক্ষে আরো ৫০ একর জমির প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে। বন্দরের প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ট্রান্সশিপম্যান ইয়ার্ড নেই। পৃথক কাস্টম ভবন ও ইমিগ্রেশন ভবন নেই। বন্দরের কার্যক্রমে গতি আনতে পৃথক পৃথক ভবন প্রয়োজন। এছাড়ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই দুর্বল। বন্দরে নিজস্ব পুলিশ ও আনছার ব্যাটালিয়নের ফাঁড়ি নেই। বন্দরে কর্মরতদের পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য আবাসিক কোয়ার্টার নেই। বুড়িমারী স্থলবন্দরে দেশের কোন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের বুথ নেই। এরকম আরো অনেক সমস্যা রয়েছে এই বন্দরে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সমিতির ব্যবসায়ী নেতা রুহুল আমীন বাবুল জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে রেললাইন রয়েছে। বুড়িমারী বন্দরে জিরো পয়েন্ট হতে রেলসংযোগ নিতে মাত্র পাঁচশ মিটার রেললাইন বাংলাদেশ রেলওয়েকে বসাতে হবে। সরকার যদি রেলপথ সংযোগ করে দেয়, তাহলে পাথর, কয়লাসহ অপচনশীল পণ্য রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহন করা সহজ হবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের দৃশ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান হলে যেমন রাজস্ব বাড়বে, তেমনি পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সুবিধা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :