খাদিজাকে রিমান্ডে চায় পুলিশ, শুনানি ১৯ অক্টোবর
আলোচিত জঙ্গি নিহত নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের বোন নব্য জেএমবির সদস্য খাদিজা আক্তারকে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে। খাদিজার শিশুপুত্র রাজুও তার সঙ্গে রয়েছে। এর আগে খাদিজা ও তার স্বামী একই সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে মশিউর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫ মিনিটে খাদিজাকে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। তবে রিমান্ড শুনানি হবে ১৯ অক্টোবর। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ওই তারিখ ধার্য্য করে খাদিজাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খাদিজার তিন সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে সুরাইয়া (৫) এবং সুমাইয়াকে (৩) তাদের নানা আব্দুস সালামের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। আর ছেলে রাজু (২) দুগ্ধজাত হওয়ায় তাকে নিজের কাছে রেখেছেন খাদিজা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতয়ালী থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) আবুল বাসার মিয়া ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার রাতে নিষিদ্ধ জঙ্গি তৎপরতা, জঙ্গি কার্যক্রম সংগঠনের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি নিজ হেফাজতে রাখা, অপরাধ সংগঠনের ষড়যন্ত্র ও অপরাধে সহায়তা করার অপরাধে একটি মামলা করেন কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং) তোফায়েল আহমেদ। মামলায় খাদিজা আক্তার ও তার স্বামী মশিউর রহমান ওরফে সাগরের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত ৪/৫ জনের কথা বলা হয়েছে।খাদিজা (২৪) পাবনা সদর উপজেলার আফুরা গ্রামের নিজাম উদ্দিন ওরফে বাটুল ফকিরের মেয়ে এবং সাগর (৩৫) জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়রাপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তারা বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড বাইলেনের শিক্ষক হায়দার আলীর বাড়ির দ্বিতীয়তলার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ অক্টোবর পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে ওই বাড়িতে জঙ্গি নেতা মারজানের বোন অবস্থান করছে। পরে ডিএমপি ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম, ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমস এর সোয়াত টিম, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, এলআইসি পুলিশ হেড কোয়ার্টারসহ পুলিশের পুলিশের অন্যান্য টিমের সদস্যরা বাড়িটি প্রাথমিকভাবে ঘিরে রাখে এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করে সেখানে জননিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর মাইকে আসামি খাদিজাকে অত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়। আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় মেলটেড আইস অভিযান পরিচালনা করা হয়। এক পর্যায়ে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেন এবং সোয়াত টিম বাড়ির মধ্যে ঢুকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট জব্দ করে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে আসামি হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর পলাতক রয়েছেন। পরে সেখান থেকে ২৪০টি বিয়ারিংয়ের বল উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আবুল বাশার মিয়া (তদন্ত) জানান, মঙ্গলবার দুপুরে খাদিজাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি হবে।(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)