নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর দুই সহযোগী গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে জেএমবির দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল র্যাব-১২। সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ফতুল্লা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর কোম্পানি অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার শেখুপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সম্রাট মিয়া ওরফে হুরের খোঁজে (২১) এবং সিরাজগঞ্জের সাহেদনগর থানার গোলাম মোস্তফার ছেলে শাহাদত হোসেন ওরফে আমির হামজা (২২)। গ্রেপ্তারকৃতরা গত ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই সহোদর জেএমবি সদস্যের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ঢাকার মিরপুরের র্যাবের অভিযানে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর সহযোগী।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর কার্যালয়ে কোম্পানি অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে দুই সহোদর জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ডে তাদের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে ১ অক্টোবর জামালপুর থেকে মোক্তারুল ইসলাম নামের অপর এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তিনজনের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১২ এর একটি দল। এসময় সেখান থেকে সম্রাট ও শাহাদতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই জঙ্গিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতী থানায় দায়েরকৃত সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত শাহাদত নারায়ণগঞ্জের জামিয়া হোসাইনিয়া আরাবিয়া হাজিগঞ্জ মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করেছেন। অপর দিকে সম্রাট নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের মহুয়া টেকনিক্যাল স্কুল এ- কলেজের এসএসসি পাসের পর রাজধানীর একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তারা দুজনেই ২০১৩ সালের দিকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন বেনামি আইডি থেকে জিহাদি পোস্ট করে আসছিলেন।
তারা অন্য জঙ্গি সদস্যদের সঙ্গে টেলিগ্রাম, ট্রিমাসহ বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। গত ২৫ আগস্ট তারা দুজন সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে মিরপুরে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর বাড়িতে এক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/আরকে/জেবি)