সালথায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধা নিহত
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জোহরা বেগম (৬০) নামে এক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০জন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জহুরা বেগম ঐ গ্রামের মান্নান মাতুব্বারের স্ত্রী।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে বিকাল পযর্šÍ থেমে থেমে ধংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খাগৈড় গ্রামের আওয়ামী লীগের সমর্থক দেলোয়ার মোল্যার সাথে প্রতিপক্ষ গোবিন্দপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের সমর্থক শেরআলী খানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে সোমবার রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের শেরআলীর সমর্থক কানাইয়ের বাড়ীঘড়ে হামলা চালায় দেলোয়ার খাঁ গ্রুপের লোকজন।
এরই সূত্রধরে মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে ধংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা-ইটপাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে।
এই সংঘর্ষে দেলোয়ার মোল্যার সমর্থক মান্নান মাতুব্বারের স্ত্রী জহুরা বেগম (৬০) নিহত হয়।
এসময় অন্তত ১০/১২টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে সংঘর্ষকারীরা। এতে উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের পুত্রবধূ হেনারা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের সময় শেরআলী খানের লোকজন বাড়িতে ঢুকে আমার শাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
সালথা থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. ফায়েকুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/প্রতিনিধি/ইএস)