গাইবান্ধায় বিএনপির মিছিল থেকে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আটক
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে গাইবান্ধা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি থেকে জেলা শহরের সার্কুলার রোডের নিউ মার্কেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তিন রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছবি তুলতে গেলে ফোকাস বাংলার গাইবান্ধা প্রতিনিধি কুদ্দুস আলমকে লাঞ্ছিত করে পুলিশ।
পুলিশ ও জেলা বিএনপি জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আসতে শুরু করে। এতে নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে শহরের সার্কুলার রোডের দুইদিক থেকে দুইটি মিছিল এসে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে।
পরে নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে দাস বেকারির মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ নিউমার্কেটের সামনে গিয়ে বাধা দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সেই মিছিল থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় ছবি তুলতে গিয়ে ফোকাস বাংলার গাইবান্ধা প্রতিনিধি কুদ্দুস আলমকে লাঞ্ছিত করে পুলিশ।
সাংবাদিক কুদ্দুস আলম বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন পুলিশ সদস্য আমাকে ধাক্কা দেয়। সেই পুলিশ সদস্যের কাছে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর মোর্শেদ বাবু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। তার আগেই পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলের সময় আমাদের সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসানকে আটক করে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সদস্য দৌড়ে যেতে ধরে সাংবাদিকের সাথে ধাক্কা লাগে। বিষয়টি নিয়ে তার সাথে আলোচনা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)