তাঁত শিল্প প্রসারে কাজ করছে সরকার: মির্জা আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৩৩

তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রান্তিক তাঁতিদের আত্ম-কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বখ্যাত ‘মসলিন’ কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডে কর্তৃক ১২.১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর পাশে মাদারিপুরের শিবচরে ১০০ একর জমির ওপর তাঁতপল্লী স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।’

বুধবার জাতীয় গ্রন্থাগারে শওকত ওসমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ তাঁতি লীগের উদ্যোগে তাঁত শিল্পের “অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন আহম্মেদ (অতিরিক্ত সচিব), তাঁত বোর্ডের সদস্য নিমাই চন্দ্র (যুগ্মসচিব), বাংলাদেশ তাঁতি লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নেছার উদ্দিনসহ তাঁতি লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিটি ইউনিভার্সিটির সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. ফজলেহ আলী।

প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ তাঁতি লীগের বর্তমান কমিটিকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের বিকাশ ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে তাঁতি লীগের সহযোগিতা কামনা করেন।

সেমিনারে জানানো হয়, ৫০১৫.৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে “তাঁতীদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত টাকার অর্জিত সুদ হইতে ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসাবে ঋণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় আগস্ট ২০১৭ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৮৬৭ জন তাঁতীকে ৬১ হাজার ৩৬৯টি তাঁতের অনুকূলে ৭০৩২.০৯ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাজারের চাহিদা এবং ভোক্তার পছন্দ অনুযায়ী নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত নতুন ডিজাইনের উপর তাঁতিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘তাঁত বস্ত্রের উন্নয়নে ফ্যাশন ডিজাইন, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং একটি বেসিক সেন্টার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি জুন ২০১৭ মাসে সমাপ্ত হয়েছে।

তাঁত বোর্ডের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে সেমিনারে জনানো হয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক প্রণয়নকৃত প্রকল্পসমূহ অনুমোদন ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বছরে ৬৮ কোটি মিটার (বিবিএস) হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ কোটি মিটারে উন্নীত হবে। ফলে উৎপাদিত তাঁত বস্ত্র দ্বারা দেশের বর্তমান অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদাপূরণ শতকরা ৪০ ভাগ হতে ৫৫ ভাগে উন্নীত হবে। এছাড়া, তাঁত বস্ত্রের রপ্তানি হতে বছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত বস্ত্রের মূল্য সংযোজনের পরিমাণ বছরে ১২২৭ কোটি টাকা হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/এমএম/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ঢাবির কেমিস্ট্রি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল, সম্পাদক আফতাব আলী

বিডিবিএল-সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক ব্যবসায়িক সম্মেলন

তিন উৎসবে রঙিন এনআরবিসি ব্যাংক

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা

ব্যাংক এশিয়া কিনে নিচ্ছে পাকিস্তানি আলফালাহ ব্যাংক

এনসিসি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি

এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন মইদুল ইসলাম

ডিএমডি হলেন অগ্রণী ব্যাংকের শামিম উদ্দিন আহমেদ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :