যশোরে দুই হত্যা মামলায় ১৫ জনের যাবজ্জীবন

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৪৭

যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার আব্দুল আলিম ও সদরের হালসা গ্রামের ইনছানুল হক মেম্বর হত্যা মামলায় ১৫ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত।

বুধবার স্পেশাল জজ (জেলা জজ) ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা ও অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো.ইমান আলী শেখ আলাদা রায়ে এ সাজা দেন।

আব্দুল আলিম হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কিসমত নওয়াপাড়ার ইয়াকুব মোল্লার ছেলে সিরাজ, মৃত মোজাম ড্রাইভারের ছেলে মজিদ, বেলায়েতের ছেলে মাহমুদুর রহমান, আজিজ ড্রাইভারের ছেলে আমিনুর, দুলালের ছেলে নাজির ও শেখহাটির বাহার আলীর ছেলে মিল্টন।

অন্যদিকে ইনছানুল হক হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, চান্দুটিয়া গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে আবু বক্কার ওরফে বাক্কার, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে এনামুল হক সরদার, আমিনউল্লাহর ছেলে কবির বেপারি, লিয়াকত আলীর ছেলে বিপ্লব মিয়া, ভেকুটিয়া কলোনির আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে তাহের হোসেন, ফরিদপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু, আলী আহম্মদের ছেলে আনিচ, চানপুর গ্রামের মেহের আলী মন্ডলের ছেলে কামারুল মন্ডল ও আলমনগরের মাওলা বক্সের ছেলে আজম ফকির।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি এসএম বদরুজ্জামান পলাশ ও অতিরিক্ত পিপি এএসএম নজরুল ইসলাম বকুল। তারা মামলার বরাত দিয়ে জানান, ১৯৯৭ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে আসামি মিল্টন একটি মোটরসাকেলে আব্দুল আলিমকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে উপশহর ট্রাক সমিতির চেকপোস্টের উত্তর পাশে নিয়ে যান। এরপর আসমিরা তাকে গুলি করলে রাস্তার ওপর পড়ে যান তিনি। পরে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আলিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নিহত আলিমের মা জহুরা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম শাহীন তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে প্রত্যেকের ৬ মাস করে সশ্রম করাদ-ের আদেশ দেন।

অপরদিকে, যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের মেম্বর ইনছানুল হক ২০০৫ সালের ৮ জুলাই রাতে ঝিকরগাছার কায়েমকোলা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ছেলে জুয়েলকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হালাসা-ঘোড়দহ গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌঁছলে একদল ডাকাত রাস্তায় দড়ি টানিয়ে তাদের গতিরোধ ও মারপিট করে বেঁধে রাখে। এরপর একই কায়ধায় কয়েকজন পথচারী আটক করে বেঁধে রাখে। জুয়েল কিছুক্ষণ পর দেখতে পায় তার পিতা তাদের সাথে নেই। পরে ডাকাতরা তাদের রেখে চলে গেলে খোঁজাখুঁজি করে পাশের বাগানে একটি গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ভ্যানে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে ইনছানুল হক মারা যান।

এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে ইয়ারুল হক জুয়েল বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (ওসি) বেলায়েত হোসেন। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যা ও ডাকাতির সাথে জড়িত থাকায় ওই ৯ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ৬ মাস করে সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/প্রতিনিধি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :