আরুশি হত্যাকাণ্ড: খালাস পেলেন মা-বাবা

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:২৯ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভারতের নয়াদিল্লি শহরতলির নয়ডা এলাকার ১৪ বছরের কিশোরী আরুশি তালওয়ার ও গৃহপরিচারক হেমরাজ হত্যা মামলায় আরুশির মা-বাবাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে এলাহাবাদের হাইকোর্ট।

বিশেষ সিবিআই আদালত এই মামলায় দন্তচিকিৎসক দম্পতি রাজেশ তালওয়ার ও নূপুর তালওয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসক দম্পতি।

আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, তালওয়ার দম্পতি দোষী নন। তারা আরুশি এবং হেমরাজকে খুন করেননি।

২০০৮ সালের ১৬ মে নয়ডা এলাকার বাড়িতে আরুশিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সন্দেহের তির যায় ওই বাড়ির নেপালি গৃহপরিচারক হেমরাজ বানজাদের দিকে। কারণ, তখন হেমরাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিনই হেমরাজের মরদেহ পাওয়া যায় ওই অ্যাপার্টমেন্টের ছাদের ওপর।

গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) তদন্তে জানা যায়, আরুশি ও হেমরাজ দুজনকেই হত্যা করেছেন আরুশিরই মা-বাবা। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গৃহপরিচারকের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় আরুশিকে দেখে ক্ষুব্ধ দন্তচিকিৎসক দম্পতি রাজেশ তালওয়ার ও নূপুর তালওয়ার নিজেদের সম্মান বাঁচাতে তাকে হত্যা করেন। তবে তালওয়ার দম্পতি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

আদালতে গলা কেটে হত্যা ও আলামত ধ্বংস করার দায়ে বাবা রাজেশ এবং মা নূপুরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০১৩ সালে আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আরুশির মা-বাবা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এই মামলাটি এমনই আলোড়ন তুলেছিল যে এই ঘটনাকে নিয়ে বই প্রকাশ ও সিনেমা তৈরি হয়। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/এসআই)