বগুড়ায় যৌতুকের বলি এক গৃহবধূ
চলতি সপ্তাহের রবিবার এবং সোমবারে ইভটিজিংয়ে শিকার হয়ে দুই কিশোরীর আত্মহত্যার রেশ এখনো কাটেনি বগুড়ায়। এর সাথে মঙ্গলবার যোগ হলো গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ।
তার নাম শিউলি খাতুন। চকপোতা গ্রামের সিদ্দীক হোসেনের মেয়ে। মেয়েটির বিয়ে হয় বছর দেড়েক আগে। শেরপুর উপজেলার বাগড়া হঠাৎপাড়া এলাকার রানার সাথে।
নিহতের বাবা সিদ্দীক হোসেন জানান, তার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জামাতা রানা বিভিন্ন অজুহাতে টাকার জন্য শিউলিকে চাপ দিত। মেয়ের সুখে থাকবে ভেবে সাধ্যমত টাকা পয়সা দিতাম। এভাবে প্রতিনিয়তই টাকার জন্য ধর্ণা দিত। সব সময় টাকা দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হত না। ফলে শিউলিকে প্রায়ই মারত। সেই খবর কখনো তিনি পেতেন, আবার কখনো পেতেন না।
পরশীরা জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে বাগড়া হঠাৎপাড়া এলাকার ইমান আলীর ছেলে রানার সঙ্গে শিউলি খাতুনের বিয়ে হয়। সংসারজীবনে তার কোলজুড়ে আসে একটি সন্তান। সেই সন্তানের বয়স মাত্র এক বছর। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও পরিবারের অন্যরা মিলে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন।
শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যৌতুক না পেয়ে স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাশুড়ি শাহীনুর বেগমকে আটক করেছে।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পুলিশের ধারণা শিউলিকে শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও যোগ করেন বুলবুল ইসলাম।
(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)