ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইউনেসকো ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৭, ২১:১১ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:০৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

‘ইসরায়েল বিরোধী পক্ষপাতমূলক’ আচরণের অভিযোগ এনে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিবিসির।

সিরিয়ার পালমিরা, যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানগুলোকে চিহ্নিত করে ইউনেসকো।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা এখন থেকে ইউনেসকোর প্রতিনিধিত্বের পরিবর্তে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষণ রাষ্ট্র’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হালকাভাবে ইউনেসকো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ইউনেসকোতে বাড়তে থাকা বকেয়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এ সংস্থার সংস্কার প্রয়োজন বলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে।

২০১৮ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কিছু অংশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি সিদ্ধান্ত এটি।

ইউনেসকো প্রধান ইরিনা বকোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার করার বিষয়টি ‘খুবই দুঃখজনক’। জাতিসংঘ পরিবার ও জোটবদ্ধতায় এটি ক্ষতিকর।

২০১১ সালে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য পদ দেয় ইউনেসকো। তাদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। সংস্থাটিকে অনুদান দেয়াও বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এরপর গত বছর পবিত্র স্থান জেরুজালেমের সঙ্গে ইহুদিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি একটি প্রস্তাবনায় উল্লেখ না করায় ইসরায়েল ইউনেসকোকে সহযোগিতা করা বন্ধ করে দেয়।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের পুরাতন হেব্রন শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করায় ইউনেসকোর সমালোচনা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন জানিয়েছে, টাকা বাঁচাতেই যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২২ শতাংশ এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা খাতে ২৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের অসামঞ্জস্যপূর্ণ অবদান বলে সমালোচনা করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/এসআই)