রোহিঙ্গা নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণে সচেতন করার উদ্যোগ

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:০৩

মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নারীদের সন্তানের সংখ্যা বেশি। প্রতিটি পরিবারে পাঁচ থেকে সাতজন সন্তান রয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া অনেক নারী এখন গর্ভবতী। তাদের সন্তান বেশি হওয়ার কারণ হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই।

কক্সবাজারে ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রতিদিন তাদেরকে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতাসহ এ ব্যাপারে ধ্যান-ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

উখিয়া পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি রোহিঙ্গা ঝুপড়িতে গিয়ে নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন, খাবার বড়ি এবং কনডমও সরবরাহ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, মাঠকর্মী সংখ্যা অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও ক্যাম্পগুলোতে এ পর্যন্ত এক হাজার ১৮০ নারীকে তিন মাস মেয়াদের জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ানো হয়েছে এক হাজারেরও বেশি নারীকে। নয় শতাধিক পুরুষকে কনডমে অভ্যস্থ করা হয়েছে। 

কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্য ঢাকাটাইমসকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের জন্মনিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য সাতটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এর মধ্যে উখিয়ায় চারটি ও টেকনাফে তিনটি। এসব টিমে কাজ করার জন্য বিভিন্ন উপজেলা থেকে দুইশ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব কর্মী ক্যাম্পে ঝুপড়িতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ২৫ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নারীরা সাত শতাধিক শিশু জন্ম দিয়েছে। আর গর্ভবতী অবস্থায় রোহিঙ্গা নারী রয়েছেন ২১ হাজার ৪৪৬ জন।

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)